যখন করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে বিপর্যস্ত ভারত। তখন কুম্ভমেলার ভীড় থেকে উত্তর ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ছে বলে চিকিৎসকদের একাংশ অভিযোগ করেছিলেন। সম্প্রতি কুম্ভমেলার করোনা টেস্ট নিয়ে আরও ভয়াবহ তথ্য সামনে এসেছে। প্রায় এক লাখ টেস্টের রিপোর্ট জাল করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। টেস্ট না করেই নেগেটিভ রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল বলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি পাঞ্জাবের এক ব্যক্তির মোবাইলে একটি করোনা টেস্টের রিপোর্ট আসে। তিনি রিপোর্টটি খুলে দেখেন যে হরিদ্বার থেকে রিপোর্টটি এসেছে। হরিদ্বারেই কুম্ভমেলার আয়োজন হয়েছিল। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো পাঞ্জাবের ওই ব্যক্তি কুম্ভে যাননি। করোনার টেস্টও করাননি। জাল রিপোর্টটি নিয়ে তিনি মেডিক্যাল কাউন্সিলে অভিযোগ করেন। এরপরেই শুরু হয় তদন্ত। তদন্তে উঠে এসেছে ভয়াবহ তথ্য। প্রায় এক লাখ রিপোর্ট এভাবেই জাল করা হয়েছিল বলে জানা যায়।
কুম্ভমেলা নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার পরে দেশটির আদালত বলেছিল প্রতিদিন অন্তত ৪০ হাজার টেস্ট করতে হবে। সেই অনুযায়ী ২২টি এজেন্সিকে টেস্টের দায়িত্ব দেয় কুম্ভমেলা কমিটি। তেমনই একটি এজেন্সি পাঞ্জাবের ওই ভদ্রলোককে রিপোর্ট পাঠিয়েছিল বলে জানা গেছে।
তখন এই ব্যাপারে তদন্ত শুরু হলে দেখা যায়,প্রায় এক লাখ জাল করোনা রিপোর্ট তারা তৈরি করেছিল। একই ফোন নম্বর আর একই ঠিকানায় হাজার হাজার মানুষের নাম এন্ট্রি করা হয়েছিল। সেই জাল রিপোর্ট দেখিয়ে লাখ লাখ মানুষ কুম্ভমেলার শাহী স্নানে অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
করোনাকালে কুম্ভমেলার আয়োজন নিয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার এবং উত্তরাখণ্ড প্রাদেশিক সরকারের সমালোচনা করেছিলেন অনেকেই। বিষয়টি মামলা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল।
এদিকে, পুরো বিষয়টির নিয়ে উত্তরাখণ্ড সরকার বিশেষ তদন্তের ব্যবস্থা করেছে বলে জানা গেছে।