কৃত্রিম সূর্য তৈরির প্রকল্প বর্তমানে বিশ্বজুড়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। মূলত নিউক্লিয়ার ফিউশন প্রক্রিয়া ব্যবহার করে শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যে এই প্রকল্পগুলি পরিচালিত হচ্ছে।
চীনের কৃত্রিম সূর্য:
চীন তাদের ‘এইচএল-২এম টোকামাক’ রিঅ্যাকটর দিয়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এই রিঅ্যাকটরটি ১০০০ সেকেন্ডেরও বেশি সময় ধরে ১০ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় প্লাজমা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে, যা পূর্ববর্তী রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যায়। এই সাফল্য পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদনের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ফ্রান্সের ITER প্রকল্প:
ফ্রান্সে ‘ইন্টারন্যাশনাল থার্মোনিউক্লিয়ার এক্সপেরিমেন্টাল রিঅ্যাকটর’ (ITER) প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য পৃথিবীতে কৃত্রিম সূর্য তৈরি করা, যা পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। প্রকল্পটি ২০২৫ সালের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার আশা রয়েছে।
কৃত্রিম সূর্য তৈরির প্রকল্পগুলি শক্তি উৎপাদনে বিপ্লব আনতে পারে। চীন ও ফ্রান্সের সাফল্য এই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নির্দেশ করে। তবে, এই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ, সময় এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রয়োজন। তাই, ভবিষ্যতে এই উদ্যোগগুলি সাধারণ মানুষের জন্য শক্তির সহজ ও পরিবেশবান্ধব উৎস হিসেবে পরিণত হতে পারে।
নিচের ভিডিওতে ফ্রান্সের কৃত্রিম সূর্য তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন: