মহাবিশ্বের বিস্ময় সম্পর্কে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করা যায়। কিছু বিস্ময় আমাদের জ্ঞান ও পর্যবেক্ষণের সীমা প্রসারিত করে, আবার কিছু বিস্ময় আমাদের অস্তিত্ব ও মহাবিশ্বের প্রকৃতি সম্পর্কে গভীর প্রশ্ন তোলে। নিচে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য মহাজাগতিক বিস্ময় তুলে ধরা হলো:
১. নিউক্লিয়ার পাস্তা:
নিউক্লিয়ার পাস্তা মহাবিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পদার্থগুলোর একটি। এটি নিউট্রন তারকার অবশিষ্টাংশ, যেখানে পদার্থের ঘনত্ব এত বেশি যে, এটি চূর্ণ করা প্রায় অসম্ভব।
২. নীহারিকা:
নীহারিকা মহাকাশে ধুলো ও গ্যাসের বিশাল মেঘ, যেখানে নতুন নক্ষত্রের জন্ম হয়। কিছু নীহারিকা সুপারনোভা বিস্ফোরণের ফলে গঠিত হয়, আবার কিছু নীহারিকা নতুন নক্ষত্রের জন্মস্থল হিসেবে পরিচিত।
৩. মহাবিশ্বের বৃহত্তম আকৃতি:
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় আকৃতির একটি কোয়াসার দলের আবিষ্কার করেছেন, যার একপাশ থেকে অপরপাশ পর্যন্ত আলোর গতিতে অতিক্রম করতে ৪০০ কোটি বছর সময় নেবে।
৪. শ্বেত গহ্বর (হোয়াইট হোল):
শ্বেত গহ্বর একটি তাত্ত্বিক মহাজাগতিক বস্তু, যা কৃষ্ণগহ্বরের বিপরীত। এগুলি মহাবিশ্বে পদার্থ ও আলো নির্গত করে, তবে কিছুই শোষণ করে না। যদিও শ্বেত গহ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়নি, তবে এটি মহাবিশ্বের রহস্যময় দিকগুলোর মধ্যে একটি।
মহাবিশ্বের এই বিস্ময়গুলি আমাদের জ্ঞান ও কৌতূহলের সীমা প্রসারিত করে, এবং মহাজাগতিক রহস্য সমাধানের পথে নতুন প্রশ্ন তোলে।
নিচের ভিডিওতে শ্বেত গহ্বর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন: