ইসরায়েলি বিমান হামলা এবং স্থল অভিযানে গাজার দক্ষিণের খান ইউনিস এলাকায় কমপক্ষে ৫১ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার রাতে সংঘটিত এই হামলায় ট্যাংক এবং ভারী গোলাবর্ষণের কথা জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
একজন আহত ব্যক্তি, যিনি হাসপাতালে পৌঁছাতে পেরেছিলেন, বিবিসিকে জানান, “ট্যাংক হঠাৎ করেই আমার গ্রামে ঢুকে পড়ে, কোনো সতর্কতা ছাড়াই।” একইসঙ্গে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা গাজার কেন্দ্র এবং উত্তর অংশে চারটি স্কুলে থাকা হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।
ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, গাজা সিটির তুফাহ অঞ্চলে মুসকাত স্কুলে কমপক্ষে নয়জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন এবং রিমাল অঞ্চলের আল-আমাল অনাথালয়ে ছয়জন নিহত হন। পরে আল-আমাল ইনস্টিটিউট তাদের ফেসবুক পোস্টে জানায়, ইসরায়েলি হামলায় আটজন নিহত হয়েছেন এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে।
গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, নুসেইরাত গার্লস স্কুলে বোমা হামলায় তিনজন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর এই হামলাগুলি গাজায় ক্রমাগত আঘাতের অংশ, যা গত বছর ৭ অক্টোবর হামাসের দ্বারা ইসরায়েলে চালানো আক্রমণের পর শুরু হয়েছিল। ইসরায়েলি সেনা অভিযানের ফলে গাজায় এখন পর্যন্ত ৪১,৬৮৯ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
খান ইউনিসের একটি হাসপাতালে থাকা একজন ব্যক্তি বিবিসি আরবিকে জানান, “আমরা কোনো সতর্কতা পাইনি। হঠাৎ করেই প্লেন ও ট্যাংক থেকে আমাদের উপর গোলা বর্ষণ শুরু হয়।”
এদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সতর্ক করেছে যে, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, কারণ প্রায় ৮২ জন এই হামলায় আহত হয়েছেন।