প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশে সহিংস বিক্ষোভের ঘটনা বেড়েছে। সোমবার বিকেলে একদল লোক কাকরাইল মোড়ে অবস্থিত প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালায় এবং ভাঙচুর করে। এর কিছুক্ষণ পর বাসভবনের ভেতর থেকে ভাঙচুরের শব্দ শোনা যায় এবং অনেক মালামাল নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। তবে প্রধান বিচারপতি ওই সময় বাসভবনে ছিলেন কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এছাড়া, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে গেছে। বিকাল পৌনে ৫টার পর থেকে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়েছে এবং ছয় ঘণ্টার জন্য এ কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চলে গেছেন, কেবলমাত্র বিমান বাহিনীর সদস্যরা সেখানে অবস্থান করছেন।
ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরেও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। একইভাবে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বাসভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা।
ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের একাধিক কার্যালয়েও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। একই সময়ে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ এবং তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও ঢাকা জেলা কার্যালয়েও হামলা চালানো হয়।
সিলেটে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ কিছু সরকারি স্থাপনা, পুলিশ ফাঁড়ি, এবং কাউন্সিলরের বাসায়ও হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলনকারীরা মিছিল করেছে।
এছাড়া, রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন এবং তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই সারাদেশে সহিংসতার এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে বৈঠক করছেন এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বলে জানা গেছে।