গতকাল রাতে দিল্লী থেকে উধামপুর এসি সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেসে করে এসে আজ সকালে পাঠানকোটে নামলাম। ওখান থেকে ভাড়া ট্যাক্সি চড়ে রওনা দিলাম হিমাচাল প্রদেশের বণীক্ষেত। মেক মাই ট্রিপ থেকে এই ট্যাক্সিটি বুক করি, দিল্লীতে আমার বাড়িতে বসেই, টোটাল চব্বিশ শত রূপীয়া লাগলো। আসার সময় রাস্তায় দুবার গাড়ি থামিয়ে দরজা খুলে সিটে বসেই মুখ বাড়িয়ে বমি করেছি। তা যাই হোক, ভ্রমণে বমি বাধা হতে পারে না তো আর। পৌঁছলাম দু ঘন্টা পর। এখানে রইলাম ভোলেনাথ হোমস্টের রুমে। বুকিং ডট কম থেকে দিল্লীতে বসেই এই রুম বুক করেছি। দুদিনের জন্য 2500 টাকা প্লাস ট্যাক্স দিতে হবে। প্রথমে ৫০০ টাকা দিয়েছিলাম, কনফারমেসনের জন্য। বাকি টাকা পরে দব। রুম ছেড়ে যাবার সময়। এসেই অর্ডার দিলাম লুচি ও ছোলার তরকারী। গরম গরম ব্রেকফাস্টের স্বাদ অপূর্ব, এক মহিলার হাতে বানানো। এরপর গরম চা খেলাম। খানিকটা ঘুমোলাম। উঠে স্নান সেরে, ড্রেস করে হাঁটতে শুরু করলাম। ফোটো ও ভিডিও করলাম অনেক। সুন্দর ডালহৌসি। পার্বত্য সৌন্দর্যের অপার বিস্ময়। যে দিকে নজর যায় পর্বত আর পর্বত….. উঁচু উঁচু উঁচু সবুজ বনানী। পর্বতের গায়ে নাম না জানা ফুলের সমারোহ। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম। কত অযত্নেও ওরা কত অপরূপা! প্রকৃতি নিজের মনের মত করে গড়েছে। বৃক্ষের ডাল থেকে বিহঙ্গের একটানা ডাক শুনছি। কেন যে তাদের এতো আকুল ডাক? কাকেই বা ডাকছে? আমার মস্তিষ্ক ও মন তা বুঝতে পারল না। তবে ওদের ওই ব্যাকুল স্বর আমাকে আপ্লুত করল অবশ্যই। ধীর পায়ে গেলাম বাস স্ট্যান্ড। কাছেই। বাসে করে ডালহৌসি মার্কেট পৌঁছলাম। মহাত্মা গান্ধী চোক মার্কেট ও ইন্ডোটিবেডিয়ান মার্কেট থেকে কাঠের কাপ, খুন্তি, হাতা, উলের চাদর, সোয়েটার, উলের লেডিস সুট ও জেন্টস কডসুলের শার্ট পিস কিনে একটি রেস্টুরেন্টে বসে গরম গরম গরম চিকেন সুপ, চিকেন চাওমিং খেলাম। এবার আরেকটি রেস্টুরেন্টে চিকেন মোমোজ খেলাম। ফের গান্ধী চোক থেকে হেঁটে নীচে দু কিলোমিটার এলাম। এখানে ডালহৌসি বাস স্ট্যান্ড থেকে বাসে করে বণীক্ষেত বাস স্টান্ডে এলাম। কয়েক মিনিট হেঁটে ভোলেনাথ হোমস্টেতে ঢুকলাম। শুয়ে ঘুমলাম। বিকালে উঠে বের হোলাম। বণীক্ষেত মার্কেট ঘুরে উলের সোয়েটার কিনলাম। আর চিকেন টিক্কা খেলাম। হেঁটে রুমে ঢুকলাম। এখন এটা লিখছি……….আসল কথাটা তো লেখাই হল না …….হ্যাঁ….আজ 4th মে আমাদের বিবাহবার্ষিকী যে…..আর আমরা এই প্রৌঢ় ও প্রৌঢ়া দিল্লীর পলিউশন ছেড়ে ক’টা দিন শীতল, শুদ্ধ বাতাসে ফুসফুস ভরতে এসেছি। তবে একটাই প্রশ্ন যে – ভারত আজও সেই সে পরাধীন, ব্রিটিশ নামকেই ধরে রেখে দিয়েছে। স্বাধীন দেশের স্বদেশী নাম এবার করা হোক! বদলে নতুন নাম করা তো যায়ই…..আপনারা কি বলেন?
✍️এই নিবন্ধটি সাময়িকীর সুন্দর এবং সহজ জমা ফর্ম ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। আপনার লেখা জমাদিন!