কি হবে উপায়
আজকে আমার শোকের দিন সত্য গেছে মারা
আসছে দেখি হো হো করে মিথ্যেরা করে তাড়া
মিথ্যে নিয়ে সারা জীবন কে আর বাঁচতে চায়
ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ লাগায় কে শহরে গায়
ভোটের রাজনীতি করে দেশ হল ছারখার
তোমার আমার দুঃখে কষ্টে কি হবে নেতার
তোমার আমার কথা নিয়ে তারা ভাবেন নাকি
ভোটের সময় যা সব বলে লোক দেখানো ফাঁকি
এই কথাটা বুঝতে যদি এত সময় যায়
দেশের জনগণের বল কি হবে উপায়
স্মৃতিভার
মৃত্যুই শেষ কথা তারপর কিছু নেই আর
এই কথা বলে এক সেয়ানা পাগল
করে দিয়ে গেল সব হিসাবের গোল
যতদিন বেঁচে আছো পৃথিবী তোমার
তারপরে কিছু স্মৃতি পড়ে থাকে শুধু
আর কিছু থাকে নাকি তার
তাই এত জীবনের কথা বলা
কবিতায় গানে বারবার
বেঁচে থাকে যারা
তারাই তো জীবনের গান গাইতে পারে
শব তা পারে না
অবশ্য সে কারও ধারও ধারে না
জীবনের মতো সে তো বাধ্য নয় কারও
মৃত্যুর পরে শুধু থেকে যায়
কিছু স্মৃতি তারও
সব স্মৃতি মনে ধরে রাখা
যায় নাতো কারও
কিছু স্মৃতি থাকে জাগরুক
মাঝে মাঝে মনে পড়ে যায়
ঘোর
বালক জানে না খেলা
তাই ঘোর সন্ধ্যাবেলা থাকে যে কী ঘোরে
একা পথে ঘোরে সঙ্গী খুঁজে ফেরে
ঘরে তার মা বোন নেই
আছে আছে সবই আছে
মাও আছে বোনও আছে
সকলেই ব্যস্ত কাজে যে যেমন তার
বালকের সঙ্গ দেবে কেউ নেই আর
বালক জানে না খেলা তাই ঘোর সন্ধ্যাবেলা
থাকে মোহ ঘোরে
সঙ্গী খুঁজে ফেরে,পথে একা ঘোরে
তাই দেখে দূর থেকে বালিকার বুক শুধু পোড়ে
কাছে যে যাবার তার নেই কোন অধিকার
সামাজিক নিষেধাজ্ঞা শুধু তাকে ঠেলে রাখে দূরে
মানে কি
তোমার কথা ভাবলে পরে
মনের ভিতর কেমন করে
এর মানে কি প্রেম নাকি
চোখের উপর যখন আমার চোখটা পড়ে
শিরশিরিয়ে বুকের ভিতর কাঁপন ধরে
এর মানে কি, প্রেম নাকি
হঠাৎ তুমি সামনে এসে হাসলে পড়ে
বুকের ভিতর আনন্দ ঢেউ উছলে পড়ে
এর মানে কি প্রেম নাকি
প্রেম মানে কি
নদীর মতো ছুটতে ছুটতে
তোমার কাছে পৌঁছে হঠাৎ
তোমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে
তোমার ভিতর গভীর ভাবে বিলীন হওয়া
কেউ জানে কি প্রেম মানে কি
কবিতা
কবিতা কবিতা করে প্রাণ যদি যায়
বল না কবিতা সখি
আর কি দেব তোমায়
হয়তো সে দেবে না কিছু,
তবু তার ছাড়ি পিছু
যাব যে কোথায়
আর কবিতা
আমাকে যদি ছেড়ে চলে যায়
বল তবে আর কি হবে উপায়
আনন্দকন্দ
কবিতা কবিতা করে কেটে যায় বেলা
ঠিক সন্ধ্যাবেলা
কবিতা নিকটে আসে শেষে
আমি তাকে ভালবেসে
হৃদয়ে বসাতে চাই হেসে
সেও দেখি মৃদু হেসে
আমার হৃদয়ে এসে বসে
হৃদয় তখন আনন্দে আকুল হয়ে ওঠে
নদীর উচ্ছাসে নির্বিচারে
এদিকে সেদিকে যায় ছুটে
পান্ডুলিপি
একটি কবিতা লেখার পর
শুধু অলঙ্কারগুলি সব খুলে নাও তার
তুলে নাও রূপময় বিভা যাতে তার সৌন্দর্য বেড়েছে
ঘরোয়া পোষাকে চোখ তুলে দেখ তাকে
যদি তাতে রমণীয় লাগে
তবে সকলের কাছে তাকে ডেকে এনে
নীরবে বসাও সবুজ গালিচা পাতা ঘাসে
নতুবা আড়ালে থাক চিরকাল
কবিতার পান্ডুলিপি হয়ে
পরবাসী
অই যে রমণী পরনে রয়েছে ছেঁড়া ত্যানা
এ কেবল তার গ্লানি আমাদের নয়
অই যে যুবক
বেকারত্বে ভুগে আত্মহনন বেছে নিল
এ কেবল তার ব্যথা আমাদের নয়
অই যে শিশুটি
অনাহারে মারা গেল কাল
এ কেবল তার ক্ষতি আমাদের নয়
ওরা বুঝি আমাদের কেউই নয়
আমাদের পাশাপাশি কিছুকাল পরবাসী ছিল
সম্পর্ক
পিতৃত্ব লাভের আগে পুরুষেরা
অন্ততঃ মনে মনে একবার কামুক হয়ে ওঠে
প্রিয় নারীর সঙ্গে নির্জনে মিলিত হয়
অথবা মিলনের স্বপ্ন দেখে
কিংবা কল্পনা করে তাই
তাতে লজ্জার কিছু নাই
মাতৃত্ব লাভের আগে রমণীরা
অন্ততঃ মনে মনে একবার অসতী হয়ে পড়ে
প্রিয় মানুষের সঙ্গে নির্জনে মিলিত হয়
অথবা মিনের স্বপ্ন দেখে
কিংবা কল্পনা করে তাই
তাতে কলঙ্কের কিছু নাই
এ’কথা কতটা সত্যি কিংবা কতটা মিথ্যে
আপনারা বলুন শুধু করিয়া যাচাই
যাওয়া
অতৃপ্তি নিয়ে বুঝি ফিরে যেতে হল
এ ভাবেই ফিরে যেতে হয়
কত ইচ্ছে ধরে রেখে মনে
এ ভাবেই ফিরে যেতে হয়
কত স্বপ্ন বুকে পুঁষে রেখে
এ’ভাবেই ফিরে যায়
গন্ধ রেখে ফুল
এ’ভাবেই ফিরে যায়
জ্যোৎস্না রেখে চাঁদ
এ’ভাবেই ফিরে যায় প্রেম
ছড়িয়ে বিষাদ
সকলেই আসে ফিরে যায়
শুধু পড়ে রয় একাকী হৃদয়
কাঁটা
গাছে কত ফুল ফুটেছে
কাছে গিয়ে দেখলে না
কাঁটার কথা ভাবলে বসে
ফুলের গন্ধ শুকলে না
কেন এমন বলতে পার
তোমার মনের পরিবেশ
আমায় তুমি বাঁচিয়ে রেখে
মনে মেরে করবে শেষ
অবহেলাই দেখলে কেবল
ভালবাসা দেখলে না
ব্যথার কথা জানলে শুধু
প্রেমের কথা ভাবলে না
আত্মরতি
স্ত্রীর পাশে শুয়ে ভাবছিলাম পরস্ত্রীর কথা
ঠিক পরস্ত্রীর কথা নয়
ভাবছিলাম তার দেহ বিভঙ্গের কথা
ঠিক দেহ বিভঙ্গের ব্যাপার নয়
ভাবছিলাম আত্মরতির কথা
এসব ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছি
ঘুম ভাঙলো যে দুঃস্বপ্নে
তা কখনও ভাবতেও পারিনি মনে
নিজের স্ত্রীকে প্রকাশ্যে ধর্ষিতা হতে দেখলাম
এর মানে বোঝা খুব কঠিন কি?
✍️এই নিবন্ধটি সাময়িকীর সুন্দর এবং সহজ জমা ফর্ম ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। আপনার লেখা জমাদিন!