কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের হামলায় রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত
কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের আক্রমণে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে রাশিয়া। মঙ্গলবার সকালে রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত ক্রিমিয়ার ফিওদোসিয়াতে এ বিমান হামলা চালানো হয়।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের বিমান রাশিয়ার বিশাল ল্যান্ডিং জাহাজ নভোকেরকাস্ককে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। এর আগে ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর প্রধান বলেন, তাঁদের যুদ্ধবিমান জাহাজটিকে ধ্বংস করে ফেলেছে।
এ হামলায় একজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার নিযুক্ত ক্রিমিয়া প্রধান সের্গেই আকসিয়োনোভ। এ ছাড়া ছয়টি ভবন ধ্বংস হয়েছে এবং কিছুসংখ্যক মানুষকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করতে হয়েছে।
বন্দরটিতে পরিবহন কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছে। হামলার কারণে আগুন লেগে যাওয়া এলাকায় মানুষের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইকোলা ওলেশচুকের শেয়ার করা ফুটেজে বন্দরটিতে বিশাল এক বিস্ফোরণ দেখা গেছে।
তবে ছবি ও ভিডিওগুলো যাচাই করতে পারেনি বিবিসি। গত ২৪ ডিসেম্বরের স্যাটেলাইট ছবিতে ফিওদোসিয়া বন্দরে নভোকেরকাস্কের সমান দৈর্ঘ্যের একটি জাহাজ দেখা গেছে।
আজ মঙ্গলবারের হামলাই প্রথম নয়,এর আগেও ইউক্রেন বাহিনী নভোকেরকাস্ক লক্ষ্য করে হামলা করেছে।
২০২২ সালের মার্চে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছিল, জাহাজটি ইউক্রেনের বেরদিয়ানস্ক বন্দরে হামলার শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া হামলায় আরেকটি জাহাজ সারাতভ ডুবে যায়।
টেলিগ্রামে একটি পোস্টে লেফটেন্যান্ট ওলেশচুক বলেন, নভোকেরকাস্ক মস্কোভার পথেই গেছে। মস্কোভা রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর বহরের জাহাজ ছিল, যা গত বছর সাগরে ডুবে যায়।
রাশিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়া দ্বীপপুঞ্জ দখল করে। ক্রিমিয়ার ঘাঁটিতে নিযুক্ত বাহিনী ২০২২ সালে ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ অভিযান চালাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তখন থেকেই ক্রিমিয়ায় রুশ বাহিনীর ওপর উপর্যুপরি হামলা চালিয়ে আসছে ইউক্রেন। গত মাসে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা রুশ নৌবাহিনীর ১৫টি জাহাজ ধ্বংস করেছে।