এক সপ্তাহে ২০০ ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে গ্রেফতারের দাবি ইসরায়েলের
অবরুদ্ধ গাজা থেকে গত এক সপ্তাহে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র প্রতিরোধী গোষ্ঠী হামাস ও ইসলামিক জিহাদের ২০০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ইসরায়েল। গ্রেফতারকৃতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিষেবা শিন বেটের শনিবারের যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, গাজায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত সন্দেহভাজন শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপর অন্তত ২০০ যোদ্ধাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর থেকে ৭০০ ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিছু সন্দেহভাজন সাধারণ নাগরিকের মাঝে লুকিয়ে রয়েছেন। আর কিছু স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন।
বিবিসি বলছে, ইসরায়েলের এই দাবির সত্যতা এখনও যাচাই করতে পারেনি সংবাদমাধ্যমটি।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজার বুরেজ শরণার্থী শিবিরে হামলা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাছাড়া জাবালিয়া ও নুসেইরাত শিবিরেও হামলা করেছে তারা। এই ঘটনায় অনেক মানুষ নিহত হয়েছেন।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের আজ ৭৮তম দিন। ফিলিস্থিতিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী, শিশু, অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর-কিশোরী ও বয়স্ক লোকজন রয়েছেন।
সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ৫২ হাজার ৫৮৬ জন ফিলিস্তিনি। তাছাড়া এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৬ হাজার ৭০০ জন। শুধু তাই না, হাজার হাজার ফিলিস্তিনি ঘর বাড়ি হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন স্কুল, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত হামাসের হামলায় এক হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েল-হামাসের সংঘাতের প্রভাব সম্পর্কে জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের সর্বশেষ উচ্ছেদের আদেশে মধ্য গাজার প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার মানুষের ওপর প্রভাব পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে গাজায় কোনও নিরাপদ জায়গা নেই বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।