কিয়েভে আবারও ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আবারও ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। গতকাল শুক্রবার কিয়েভ ও এর আশপাশের বিস্তৃত এলাকায় এই হামলা চালানো হয়। তবে এই ড্রোন হামলায় কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি মাসে পূর্ব ইউরোপের দেশটির রাজধানীতে এ নিয়ে ষষ্ঠ দফায় ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটল। সর্বশেষ এই হামলায় কারও নিহত হওয়ার খবর পাওয়া না গেলেও আহত হয়েছে দুজন। কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকো এক টেলিগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, রাতের আঁধারে শহরের কেন্দ্রের দক্ষিণে অবস্থিত সোলোমিয়ানস্কি এলাকায় বহুতল আবাসিক ভবনে ড্রোন আঘাত করে। এতে ভবনের ওপরের তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। যদিও সেই আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবা বিভাগ এক টেলিগ্রাম পোস্টে লিখেছে, হামলার শিকার ভবনের ২৪,২৫ এবং ২৬ তলায় বেশ কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দুজন আহত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইউক্রেনের বিমানবাহিনী বলেছে, সর্বশেষ হামলায় রাশিয়া মোট ২৮টি ড্রোন ছুড়েছে। তার মধ্যে তারা ২৪টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিওতে রাতের আঁধারে আগুনের শিখা আকাশের দিকে উঠতে দেখা গেছে। কিয়েভের মেয়র বলেন, ড্রোনের আঘাতে দিনিপ্রো নদীর পূর্ব তীরে দারনিতস্কি এলাকায় একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে আগুন ধরে যায়। তবে সেখানে কেউ আহত হয়নি।
কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্হি পপকো জানিয়েছেন, ভূপাতিত করা একটি ড্রোনের টুকরা শহরের কেন্দ্রের দক্ষিণে অবস্থিত হলোসিভস্কি এলাকায় একটি অ্যাপার্টমেন্টে আঘাত করে। তিনি বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছেন, যেখানে জানালা ভাঙা এবং অ্যাপার্টমেন্টের ব্যাপক ক্ষতির চিত্র ফুটে উঠেছে।
এই হামলার বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ নামে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এর পর থেকে ১০ মাসের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলছে উভয় দেশের মধ্যে। এ ছাড়া সংঘাতের এই পর্যায়ে এসে মস্কো প্রায়ই রাতের বেলা ইউক্রেনের ভূখণ্ডে হামলা চালাচ্ছে।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর কোস্ত্যন্তিনিভকাতে রুশ হামলায় ১৭ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়। ওই হামলায় আহত হয়েছিল অন্তত ৩৩ জন। যদিও বেসামরিক নাগরিকদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে রাশিয়া।