কুয়েতের নতুন আমির শেখ মেশাল আল-আহমদ
আনুষ্ঠানিকভাবে কুয়েতের নতুন আমির হিসেবে শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-সাবাহর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
কুয়েতের সংবিধান অনুযায়ী, আমিরের মৃত্যুর পর যুবরাজই পরবর্তী আমির হবেন। তবে তাকে অবশ্যই পার্লামেন্টে শপথ গ্রহণ করতে হবে। যদিও ২০২১ সাল থেকে শেখ মেশালই কার্যত কুয়েত শাসন করে আসছিলেন। তবে এতদিন তিনি ছিলেন যুবরাজ। তার বয়স ৮৩ বছর।
শেখ মেশালও দেশটির পার্লামেন্টে শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়েই আমির হিসেবে ক্ষমতায় বসবেন। নিজের উত্তরসূরি ঘোষণার জন্য সর্বোচ্চ এক বছর সময় পাবেন তিনি।
শনিবার মারা যান কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল-আহমদ আল-সাবাহ। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তার মৃত্যুর কারণ জানানো হয়নি। তবে গত মাসের শেষ দিকে জরুরি চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ২০২০ সালে আমির হওয়ার পর মাত্র তিন বছর তিনি কুয়েত শাসন করেন। তার মৃত্যুতে কুয়েতে ৪০ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। আর তিন দিন বন্ধ থাকবে অফিস-আদালত।
শেখ নাওয়াফের মৃত্যুতে বিশ্ব নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক শেখ নাওয়াফকে ‘বন্ধু’ বলে অভিহিত করেছেন। আর সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ বলেছেন, শেখ নাওয়াফ একজন ‘বিজ্ঞ নেতা’ ছিলেন।
শেখ নাওয়াফকে ২০০৬ সালে কুয়েতের যুবরাজ ঘোষণা করা হয়েছিল। সে সময়ে কুয়েতের আমির ছিলেন তার সৎ ভাই শেখ সাবাহ আল-আহমদ আল-সাবাহ। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে শেখ সাবাহ (৯১) মারা গেলে শেখ নাওয়াফ কুয়েতের আমির হন।
আমির হওয়ার আগে তিনি কুয়েতের পররাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৩৭ সালে জন্ম নেওয়া শেখ নাওয়াফ ছিলেন কুয়েতের প্রয়াত শাসক শেখ আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহর (১৯২১-১৯৫০) পঞ্চম পুত্র।
শেখ নাওয়াফ ২৫ বছর বয়সে হাওয়ালি প্রদেশের গভর্নর হিসেবে নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন।
বিশ্বের সপ্তম বৃহৎ তেলের মজুদ রয়েছে কুয়েতে। সৌদি আরব ও ইরাকের সঙ্গে সীমান্ত থাকা ছোট্ট এই দেশটি পারস্য উপসাগরে ইরানের ঠিক উল্টো পাড়ে অবস্থিত। ১৯৯০ সালে ইরাক কুয়েত আক্রমণ করে দখল করে নিয়েছিল। যে ঘটনা পরের বছর প্রথম গল্ফ যুদ্ধের কারণ হয়। পরে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য মিত্র দেশ ইরাককে আক্রমণ করে কুয়েতকে স্বাধীন করে।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ক্ষমতা গ্রহণের পর শেখ নাওয়াফ প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার কৌশল গ্রহণ করেন।