ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রাণ হারিয়েছে ৮ হাজার শিশু ও ৬২০০ নারী
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় ৭০ দিন ধরে যুদ্ধ চলছে। এর মাঝে অল্প কিছু দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি ছিল। যুদ্ধবিরতির আগে ও পরে অঞ্চলটিতে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ১৮ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৮ হাজারই শিশু। নিহতের তালিকায় শিশুর পরপরই সবচেয়ে বেশি নারী। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ বিভাগের বরাত দিয়ে তুরস্কের সংবাদ সংস্থা টিআরটি ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে চালানো ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত (গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত) ১৮ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে গাজায়। এই সময়ে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ৫১ হাজারেরও বেশি।
সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় হলো, ইসরায়েলি হামলায় হতাহতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিশু ও নারী। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ বিভাগের তথ্যানুসারে, ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত চালানো ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৮ হাজার শিশু নিহত হয়েছে। একই সময়ে নিহত ফিলিস্তিনি নারীর সংখ্যা ৬ হাজার ২০০ জন।
এদিকে, লোহিত সাগরে পণ্যবাহী একটি জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। হুতি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেন থেকে চালানো হামলায় জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গতকাল শুক্রবার এ ঘটনার পর দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি হুমকি দিয়ে বলেছে, ইসরায়েলের পথে যাওয়া সব জাহাজেই হামলা হবে। গোষ্ঠীটি বলেছে, তারা জাতীয়তা নির্বিশেষে ইসরায়েলে ভ্রমণকারী যেকোনো জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করবে। এখন প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েলে ভ্রমণকারী নৌযানকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করছে হুতিরা। তবে সেই সব আক্রমণের বেশির ভাগই ব্যর্থ হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, ‘আমরা জানি, ইয়েমেনের হুতি নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্র জাহাজটিকে আঘাত করেছে। এতে পণ্যবাহী জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং আগুন লেগে যায়।’
বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থা অ্যামব্রে বলেছে, জার্মান পরিবহন সংস্থা হ্যাপাগ-লয়েডের মালিকানাধীন কনটেইনার জাহাজটি ইয়েমেনের উপকূলীয় শহর মোচা থেকে উত্তরে একটি বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি জাহাজের বন্দরের দিকে আঘাত করেছে। এতে ওভারবোর্ডে পড়ে যায় একটি কনটেইনার। ক্ষেপণাস্ত্রটির আঘাতে জাহাজের ডেকে আগুন লেগে যায়।
বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, বর্তমানে এলাকাটিতে টহল দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজ। তারা আকাশ থেকে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রও ছুড়েছে।