গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হামাসের তুমুল লড়াই
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে তুমুল লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েলি সেনারা। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) হামাস নেতার বাড়ি ঘিরে ফেলার দাবি করেছে ইসরায়েল। লড়াই দক্ষিণাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ায় ফিলিস্তিনি বেসামরিকরা মিসর সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় ছুটছে। তবে অনেকেই আশঙ্কা করছেন, রাফাহতেও ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের কারণে সেখানেও তারা নিরাপদ থাকতে পারবেন না। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা প্রথমবারের মতো দক্ষিণ গাজার বৃহত্তম শহর খান ইউনিসের প্রাণকেন্দ্রে অভিযান পরিচালনা করছে।
এক বিবৃতিতে বাহিনীটি বলেছে, এই শহর হামাসের সামরিক ও প্রশাসনিক শাসনের প্রতীক। সেনারা সন্ত্রাসীদের হত্যা, সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস ও অস্ত্রের অবস্থান শনাক্ত করছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, খান ইউনিসে হামাস নেতা ইয়াহিয়া আল-সিনওয়ারের বাড়ি ঘিরে রেখেছে সেনারা। এই বাড়ি হয়তো তার দুর্গ নয়। তিনি পালিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু তাকে ধরে ফেলা সময়ের ব্যাপার।
খান ইউনিসের বাসিন্দারা বলছেন, সিনওয়ারের বাড়ির কাছে ইসরায়েলি ট্যাংক রয়েছে। তবে তিনি সেখানে অবস্থান করছেন কিনা তা জানা যায়নি।
ইসরায়েল দাবি করে আসছে, হামাসের একাধিক নেতা ও যোদ্ধারা সুড়ঙ্গে অবস্থান নিয়েছে।
হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেড বলেছে, তুমুল লড়াই চলছে। বাসিন্দারা বলছে, বুধবার দিবাগত রাতে বোমাবর্ষণের তীব্রতা বেড়েছে।
প্রায় দুই মাসের সংঘাতে লাখো ফিলিস্তিনি উত্তর গাজা থেকে দক্ষিণাঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এখন দক্ষিণাঞ্চলেও ইসরায়েলি অভিযান শুরু হয়েছে। ফলে তাদের জন্য নিরাপদ কোনও স্থান নেই। বুধবার রাফাহতে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন।
রাফাহ থেকে টেলিফোনে সামির আবু আলি বলেন, ইসরায়েলিরা মিথ্যাচার করছে। গাজায় কোনও নিরাপদ স্থান নেই। আগামীকাল তারা রাফাহতেও আসবে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার এক হাসপাতাল ৪৩ জন ও বুধবার আরেকটি হাসপাতাল ৭৩ জন নিহতের কথা জানিয়েছে।