গাজায় আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলা, শিশুসহ নিহত ১৫
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলায় ১৫ জন নিহত এবং ২২ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। আলজাজিরা টিভি এবং হামাসের টেলগ্রাম চ্যানেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
কাতার ভিত্তিক আল জাজিরা টিভি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের কিছু ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিছানার চাদরে মোড়ানো বেশ কয়েকটি মৃত শিশু। অন্যান্য বাসিন্দারা ধ্বংসস্তূপের নিচে তাদের নিখোঁজদের সন্ধান করছেন।
হামাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত বার্তা সংস্থা শেহাবের পক্ষ থেকে টেলিগ্রাম অ্যাপে দেওয়া একটি পোস্টে বলা হয়েছে, হতাহত ব্যক্তিদের নাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এদিকে কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সরকার গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য চুক্তি অনুমোদন করেছে।
তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘চুক্তি মানে যুদ্ধ বন্ধ হবে না।’ হামাস গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির সম্পর্কে আরো বিস্তারিত সামনে এনেছে। ফিলিস্তিনি এই গোষ্ঠী নিশ্চিত করেছে যে, উভয় পক্ষ থেকে অস্থায়ী এ যুদ্ধবিরতি চার দিন স্থায়ী হবে।
টেলিগ্রামে শেয়ার করা একটি বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে- এই যুদ্ধবিরতির অর্থ এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েল গাজা উপত্যকার সব এলাকায় সামরিক যান চলাচল বন্ধ করবে।
চিকিৎসা ও জ্বালানি সরবরাহসহ শত শত মানবিক সহায়তা ট্রাককে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেবে। দক্ষিণ গাজায় ড্রোন হামলা ও নজরদারি চারদিন বন্ধ থাকবে। ড্রোন চলাচল স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে ৪টা পর্যন্ত প্রতিদিন ছয় ঘণ্টার জন্য উত্তরে থামবে। যুদ্ধবিরতি চলাকালীন, ইসরায়েল ‘গাজা উপত্যকার সমস্ত অঞ্চলে কাউকে আক্রমণ বা গ্রেপ্তার না করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’। সালাহ আল-দ্বীন স্ট্রিটে চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েল সরকার সব জিম্মিকে দেশে ফেরত আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, “আজ রাতে সরকার এই লক্ষ্য অর্জনের প্রথম পর্যায়ের রূপরেখার অনুমোদন দিয়েছে। চুক্তি অনুসারে কমপক্ষে ৫০ জনকে জিম্মিকে (নারী ও শিশু) চার দিনের মধ্যে মুক্তি দেওয়া হবে। ওই সময়ে লড়াইয়ে বিরতি দেওয়া হবে। প্রতি অতিরিক্ত দশজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হলে বিরতিতে একটি অতিরিক্ত দিন থাকবে।
আরো বলা হয়েছে, “ইসরায়েল সরকার এবং নিরাপত্তা পরিষেবাগুলো (ইসরায়েলি সেনাবাহিনী) সব জিম্মিকে স্বদেশে ফিরে আনার জন্য, হামাসকে নির্মূল সম্পূর্ণ করার জন্য এবং গাজা থেকে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্য কোনো প্রকার হুমকি থাকবে না, তা নিশ্চিত করার জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।”
সূত্র: রয়টার্স