ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধের তদন্ত চেয়েছে বাংলাদেশসহ ৫ দেশ
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের পরিস্থিতি তদন্তের জন্য পাঁচ দেশের কাছ থেকে একটি যৌথ অনুরোধ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটর করিম খান।
শুক্রবার তিনি জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, বলিভিয়া, কমোরোস এবং জিবুতি যৌথভাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ওই আবেদন করেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা বলেছে, ফিলিস্তিনের বর্তমান গুরুতর পরিস্থিতিতে আইসিসি যেন জরুরি ভিত্তিতে মনোযোগ দেয়, তা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
২০১৪ সালের ১৩ জুন ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ নিয়ে আগে থেকেই একটি তদন্ত চালিয়ে আসছে আইসিসি।
ফলে শুক্রবার পাঁচ দেশের তরফ থেকে নতুন করে যে তদন্তের অনুরোধ আইসিসির প্রসিকিউশন অফিস পেয়েছে, তার প্রভাব হবে সীমিত।
প্রসিকিউটর করিম খান গত মাসে জানিয়েছিলেন, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকে হামাস যে হামলা চালিয়েছে, এবং তার জবাবে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় যে বোমা হামলা চালিয়ে আসছে, তা তদন্তের বিচারিক এখতিয়ার আইসিসির প্রসিকিউশন অফিসের রয়েছে।
আইসিসির প্রসিকিউটরের দপ্তর একটি বিবৃতিতে বলেছে, ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে এবং ফিলিস্তিনিদের মাধ্যমে অপরাধ সংঘটনের ‘উল্লেখযোগ্য তথ্য ও প্রমাণ’ তারা ইতোম্যে সংগ্রহ করেছে।
ইসরায়েল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য নয়। এ আদালতের বিচারিক এখতিয়ারকেও স্বীকৃতি দেয় না দেশটি।
সদস্য নয়– এমন দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রেও বিশেষ পরিস্থিতিতে তদন্ত করতে পারে আইসিসি, যদি অভিযোগটি এমন হয় যে, সেই দেশ বা দেশের কোনো নাগরিক আইসিসির সদস্য কোনো রাষ্ট্রের সীমানার ভেতরে অপরাধ সংঘটিত করেছে।
ফিলিস্তিন অঞ্চল ২০১৫ সাল থেকে আইসিসির সদস্য। সে কারণেই ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত দিয়েছিল আইসিসি।