গাজার প্রধান হাসপাতালে ইসরায়েলি সেনাদের নিবিড় তল্লাশি
ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের সেনারা ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজার বৃহত্তম হাসপাতালের ভেতরে ও আশপাশে নিবিড় তল্লাশি চালাচ্ছে। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস এই হাসপাতালের ভবনগুলোর নিচে ভূগর্ভস্থ টানেলে অস্ত্র গুদামজাত করে রেখেছে ও তারা সেখানে একটি কমান্ড সেন্টার পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর।
বুধবার ইসরায়েলি সেনারা জোরপূর্বক গাজার আল-শিফা হাসপাতালে প্রবেশ করে। তারপর থেকে দিনভর সেখানে ব্যাপক তল্লাশি চালায় তারা। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক ভিডিওতে স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রেনেড, গোলাবারুদ ও বুলেট প্রুফ জ্যাকেট দেখিয়ে হাসপাতাল কমপ্লেক্সের একটি ভবন থেকে এগুলো উদ্ধার করার দাবি করেছে, জানিয়েছে রয়টার্স।
বুধবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, “একটি সুনির্দিষ্ট, গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক পদ্ধতিতে সেনারা হাসপাতালটিতে তল্লাশি চালাচ্ছে। আরও তথ্য পাওয়ার জন্য, আরও সম্পদ খুঁজে পাওয়ার জন্য এবং হাসপাতালের মধ্যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রকাশ করার জন্য আমরা তল্লাশি চালিয়ে যাবো।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার সাংবাদিকদের বলেছেন, হাসপাতালের নিচে সামরিক সদরদপ্তর রেখে হামাস যুদ্ধাপরাধ করছে। সীমিত সংখ্যক সশস্ত্র সেনা নিয়ে ইসরায়েল আল শিফায় প্রবেশ করেছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, “তাদের বলা হয়েছে, তাদের অবিশ্বাস্যরকম সতর্ক থাকা দরকার বলে আমরা আলোচনা করেছি।”
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী আল শিফায় কোনো টানেলের প্রবেশ পথ খুঁজে পাওয়ার কথা উল্লেখ করেনি। আগে তারা বলেছিল, এই হাসপাতালের নিচে হামাস টানেলের এক নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। হামাস এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সর্বশেষ বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করেছে।
হামাসের কাতারভিত্তিক জ্যেষ্ঠ নেতা ইজ্জাত এল রাশক বলেন, “দখলদার বাহিনী এখনও মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছে। তারা কিছু অস্ত্র, কাপড় ও যন্ত্রপাতি এনে কলঙ্কজনকভাবে হাসপাতালে রেখেছে। দখলদারদের মিথ্যা যাচাই করার জন্য আমরা বারবার জাতিসংঘ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও রেড ক্রসের একটি কমিটির জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছি।”
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা ডব্লিউএএফএ জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় ’২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো’ ইসরায়েলি বাহিনী শিফা কমপ্লেক্সে অভিযান চালিয়েছে। এই অভিযানে বুলডোজার ও সামরিক যান ব্যবহার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার হামাসের বার্তা সংস্থা শেহাব জানিয়েছে, ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো আল শিফা কমপ্লেক্সের দক্ষিণ পাশ থেকে অভিযান চালিয়েছে এবং ওই এলাকায় গুলির শব্দ শোনা গেছে।