ইনকিউবেটর না পেয়ে গাজার নবজাতকদের ফয়েল পেপারে রাখা হচ্ছে
ক্রমাগত হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজার আল-শিফা হাসপাতাল। এর আশপাশের রাস্তায় গুলি চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। হাসপাতালটির জ্বালানি ফুরিয়ে গেছে আগেই। এতে হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র, শিশু বিভাগ, অক্সিজেন ডিভাইসগুলোসহ বন্ধ হয়ে গেছে উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতালটির চিকিৎসা কার্যক্রমও। এতে গতকাল সোমবার পর্যন্ত সেখানে মোট ছয়টি অপরিণত নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে, আর রোগী মারা গেছে নয়জন।
আল-শিফার এমন পরিস্থিতিতে অপরিণত নবজাতকদের বাঁচিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। অক্সিজেন সরবরাহ ফুরিয়ে যাওয়ায় ইনকিউবেটর থেকে সরিয়ে তাদের ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে গরম পানির পাশে রাখা হচ্ছে। সিএনএনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালটির পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া বলেন, অপরিণত নবজাতকদের ইনকিউবেটর থেকে বের করে তাদের উষ্ণ রাখতে ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে গরম পানির পাশে রাখা হয়েছে। গত রোববার আল অ্যারাবি টেলিভিশনকে তিনি এ কথা বলেন।
সিএনএন আল-শিফা হাসপাতালের একটি ছবি প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি নবজাতককে বিছানায় একসঙ্গে রাখা হয়েছে। এর আগে হাসপাতালের ইনকিউবেটরে ছিল তারা।
পরিচালক আবু সালমিয়া আরও বলেন, ‘বিদ্যুতের অভাবে হাসপাতালের ভেতরের কোনো অপারেটিং কক্ষই কাজ করছে না। যাঁদের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন, তাঁরা মারা যাচ্ছেন। আমরা কিছুই করতে পারছি না।’
আল-শিফার ভেতরে অবস্থান করা এক ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক বলেন, কয়েক ডজন লাশ এখনো দাফন করা হয়নি। অ্যাম্বুলেন্সগুলো আহত ব্যক্তিদের নিতে পারছে না এবং বিদ্যুৎ না থাকায় লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমও কাজ করছে না। চিকিৎসকেরা মোমবাতি জ্বালিয়ে কাজ করছেন।
ইনকিউবেটর না পেয়ে ফয়েল পেপারে নবজাতক রাখায় বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, আল-শিফা হাসপাতালে ‘বিপর্যয়কর’ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, হাসপাতালের বাইরে গুলিবর্ষণ করায় সেখানকার চিকিৎসক, কর্মী, রোগী ছাড়াও হাজার হাজার আশ্রয় গ্রহণকারী আটকা পড়েছেন।