৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় নিহতের সংখ্যা কমালো ইসরায়েল
ইসরায়েল ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় নিহতের সংখ্যা সংশোধন করে ১,৪০০ থেকে ১,২০০ জনে নামিয়ে এনেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এ কথা জানিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিওর হাইয়াতকে বলেন, ‘এটি একটি হালনাগাদ হিসাব’।
এর আগে ইসরায়েল হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলায় ১,৪০০ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছিল। জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কোর সমালোচনা করে শুক্রবার দেওয়া এক বিবৃতিতে হাইয়াত বলেন, হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ‘প্রায় ১,২০০ জনকে’ হত্যা করেছে।
এদিকে হাইয়াত আলাদাভাবে এক বিবৃতিতে হামাসের হামলায় নিহতের নতুন সংখ্যার খবর নিশ্চিত করেছেন। খবর আল জাজিরার
তবে কেন এই সংশোধন করা হয়েছে তার কোনো সুস্পষ্ট কারণ তিনি জানাননি। এই সংখ্যার মধ্যে বিদেশিরাও অন্তর্ভুক্ত। তবে এটিই চূড়ান্ত নিহতের তালিকা নয়। সব মৃতদেহ শনাক্ত করার পর এই সংখ্যা আবার পরিবর্তিত হতে পারে বলে হায়াত জানান।
এদিকে গাজার উত্তরে শুক্রবারজুড়ে বেশ কয়েকটি হাসপাতালে বা কাছাকাছি হামলার খবর পাওয়া গেছে। একটি ফুটেজে আল-রান্টিসি শিশু হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলি ট্যাংকগুলোকে গুলি চালাতে দেখা যায়। সেখানে অনেক বেসামরিক মানুষ আটকা পড়েছে বলে জানা গেছে। ইসরায়েলও নিশ্চিত করেছে, গাজা শহরের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফার কাছাকাছি কাজ করছে তারা। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘তারা হাসপাতালগুলোতে গুলি চালাচ্ছে না। তবে হামাস যদি হাসপাতালের নিচে গোপন সুড়ঙ্গ থেকে গুলি চালায়, তবে আমাদের যা করা দরকার আমরা তাই করব।’
সংবাদ সংস্থা বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষৎকারে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরোঁ বলেছেন, ইসরায়েলকে গাজায় বেসামরিক মানুষ হত্যা বন্ধ করতে হবে। যুদ্ধবিরতি ইসরায়েলের জন্য ভালো হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ফ্রান্স হামাসের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের স্পষ্টভাবে নিন্দা জানায় এবং ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়।’
৭ অক্টোবরের হামলার পর থেকে ইসরায়েল হামাসকে ধ্বংস করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে গাজা উপত্যকায় তাদের সামরিক অভিযান শুরু করেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গাজায় ইসরায়েলের উপর্যুপরি হামলায় এ পর্যন্ত ১১ হাজারেরও বেশি নিহত হয়েছে। এদের অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু।