২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন পুতিন
রাশিয়ায় জোসেফ স্ট্যালিনের পর থেকে যে কোনও শাসকের চেয়ে দীর্ঘদিন প্রেসিডেন্ট পদে থেকেছেন ভ্লাদিমির পুতিন। তারপরও ক্ষমতা ছাড়তে নারাজ তিনি।
ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে গোটা বিশ্বে কোণঠাসা হয়ে পড়ায় পুতিন মানসিক চাপে আছেন। তার শরীরও বিশেষ ভাল যাচ্ছে না বলে গুঞ্জন আছে। তারপরও আগামী বছর মার্চে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৭১ বছর বয়সী পুতিন।
এর আগে জল্পনা ছিল পুতিন হয়ত এবার আর প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন না। কিন্তু আবার নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ২০৩০ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকার পদক্ষপ নিয়ে ফেলেছেন পুতিন।
কয়েক দশকের মধ্যে বর্তমানে রাশিয়ার সবচেয়ে নাজুক সময়ে দেশের হাল ধরে রাখতে হবে বলেই পুতিন মনে করছেন। সে কারণে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ছয় জন কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তারা জানান, পুতিনের উপদেষ্টারা এখন নির্বাচনী প্রচারাভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পুতিনের ওপর চালানো জনমত জরিপে দেখা গেছে, রাশিয়ার ভেতরে তার জনপ্রিয়তা ৮০ শতাংশ।
তিনি নির্বাচনে দাঁড়ালে তা হবে একটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। রাষ্ট্রের সমর্থন, রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের সমর্থন থাকায় এবং তেমন কোনও ভিন্নমত প্রায় না থাকায় নির্বাচনে পুতিনের জয় সুনিশ্চিত।
পুতিনের নির্বাচনী পরিকল্পনা সম্পর্কে জানেন এমন একজন কর্মকর্তা বলেছেন, “সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেছে- তিনি নির্বাচনে লড়বেন।” আরেকজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং পুতিনের নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন।
আরও তিনজন কর্মকর্তা বলেছেন, “পুতিন নির্বাচনে দাঁড়াবেন।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক বিদেশি কূটনৈতিক কর্মকর্তাও বলেছেন, পুতিন সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং এ বিষয়ে ঘোষণা শিগগিরই আসবে।
আরও অনেক বিদেশি কূটনীতিক, গুপ্তচর এবং কর্মকর্তারা বলছেন, তারা মনে করেন পুতিন আজীবনই ক্ষমতায় থাকবেন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ গত সেপ্টেম্বরেই বলেছিলেন পুতিন যদি নির্বাচনে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তাহলে কেউই তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পেরে উঠবে না।
২০১২ সাল থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে আছেন পুতিন। তার আগে দু’ দফায় ১৯৯৯-২০০০, ২০০৮-২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং ২০০০-২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন।