গাজায় উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা জোরদারে জিম্মিদের পরিবারে বাড়ছে হাহাকার
ইসরায়েলি বাহিনী যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় বিধ্বংসী হামলা জোরদার করেছে। এর মধ্যেই হামাসের হাতে আটক ২২৯ জিম্মির পরিবার শনিবার ইসরায়েল সরকারের কাছে জিম্মিদের উদ্ধারের পরিকল্পনা রূপরেখা জানানোর আহ্বান জানাচ্ছে।
ইসরায়েল গাজায় বোমাবর্ষণ তীব্র করার কারণে ৭ অক্টোবরের হামলায় যোদ্ধাদের হাতে জিম্মিদের প্রতিনিধিত্বকারী প্রধান দল হোস্টেজ অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলি ফোরাম মন্ত্রীদের সঙ্গে একটি অবিলম্বে বৈঠক প্রত্যাশা করছে।
জিম্মিদের ভাগ্য সম্পর্কে সম্পূর্ণ অনিশ্চয়তা নিয়ে পরিবারগুলো ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, শনিবার তেল আবিবে শত শত লোক জড়ো হয়েছিল।
এ সময় কোনো প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলে রাস্তায় বিক্ষোভ করার হুমকি দেয় তারা।
এ আয়োজনের একজন মুখপাত্র হাইম রুবিনস্টাইন (৩৫) বলেন, পরিবারের সদস্যরা ঘুমায় না, তারা উত্তর চায়, তাদের উত্তর পাওয়া উচিত।
জিম্মিদের পরিবারগুলো বলছে, কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের খুব কম যোগাযোগ রয়েছে। তারা প্রিয়জনদের ভাগ্য নিয়ে ভয়ংকর অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।
গ্রুপটি একটি বিবৃতিতে বলেছে, যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার কেউ একটি জিনিস ব্যাখ্যা করার জন্য পরিবারগুলোর সঙ্গে দেখা করার দরকার মনে করেননি―স্থল অভিযান ২২৯ জিম্মির সুস্থতাকে বিপন্ন করবে কি না। পরিবারগুলো তাদের প্রিয়জনের ভাগ্য নিয়ে চিন্তিত এবং একটি ব্যাখ্যার জন্য অপেক্ষা করছে। প্রতি মিনিট অনন্তকালের মতো মনে হচ্ছে।
এরপর শনিবার রাতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন বলে ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানায়।
নেতানিয়াহুর অফিসের বরাত দিয়ে ইসরায়েলি গণমাধ্যম বলেছে, নেতানিয়াহু এদিন রাতে হামাসের হাতে জিম্মি ২২৯ জনের পরিবারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, তিনি রবিবার পরিবারগুলোর সঙ্গে দেখা করবেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার হামাসের সশস্ত্র শাখা বলেছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় ‘প্রায় ৫০’ জিম্মি নিহত হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে এই সংখ্যা যাচাই করা যায়নি।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, সীমান্ত পেরিয়ে হামাস যোদ্ধাদের হামলায় এক হাজার ৪০০ জন নিহত হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল একটি স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
অন্যদিকে হামাস শাসিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিশুসহ সাত হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
সূত্র : এএফপি, বিবিসি