ইসরায়েলের স্থল অভিযান মোকাবেলার প্রতিজ্ঞা হামাসের
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজায় তাদের আকাশ ও স্থল হামলার বিস্তৃতি ঘটানোর পর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস বলেছে, ‘পূর্ণ শক্তি’ দিয়ে শত্রুর হামলা মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত তারা।
এর আগে ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা হামাস শাসিত গাজায় আক্রমণ আরও তীব্র করেছে। এরপর হামাস জানায়, সীমান্তের নিকটবর্তী এলাকাগুলোতে তাদের যোদ্ধারা ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে।
শুক্রবার রাতে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসাম বিগ্রেড জানায়, গাজার উত্তরাঞ্চলীয় শহর বেইত হানোনুন ও মধ্যাঞ্চলীয় আল বুরেইজে তাদের যোদ্ধারা ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে।
শনিবারের শুরুতে দেওয়া এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, “আল কাসাম বিগ্রেডস ও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনীগুলো (ইসরায়েলি) আগ্রাসন পূর্ণ শক্তি দিয়ে মোকাবেলার জন্য এবং তাদের অনুপ্রবেশকে ব্যর্থ করতে পুরোপুরি প্রস্তুত। (বেনিয়ামিন) নেতানিয়াহু ও তার পরাজিত সেনাবাহিনী কোনো সামরিক বিজয় অর্জনে সক্ষম হবে না।”
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, “গত কিছুদিন ধরে চালানো হামলার পাশাপাশি আজ রাতে স্থলবাহিনী বিস্তৃত পরিসরে তাদের অভিযান শুরু করছে।”
তিনি জানান, ইসরায়েলি বিমান বাহিনী হামাসের তৈরি করা টানেলগুলোর ওপর ও অন্যান্য অবকাঠামোতে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করেছে।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন আকস্মিক হামলার পর থেকে তিন সপ্তাহ ধরে গাজায় তীব্র বোমাবর্ষণ করে চলেছে ইসরায়েল। গাজার সীমান্তগুলোতে ইসরায়েলি স্থলবাহিনী যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে অপেক্ষা করে আছে।
ইসরায়েলে হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ১৪০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। এর পাশাপাশি প্রায় ২০০ ইসরায়েলিকে ধরে গাজায় নিয়ে বন্দি করে রেখেছে হামাস যোদ্ধারা। এর প্রতিশোধ নিতে গাজায় তিন সপ্তাহ ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় ৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
রাতে আল জাজিরায় সম্প্রচারিত লাইফ ফুটেজে গাজায় মুহুর্মুহু বিস্ফোরণ ঘটতে দেখা যায়। গাজা ভূখণ্ডের প্রধান হাসপাতালের আশপাশের এলাকায় ইসরায়েলি বিমানগুলো হামলা চালিয়েছে বলে আল জাজিরা জানিয়েছে।
তবে গাজা নগরীর আল শিফা হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলি বিমান হামলার এ খবর নিশ্চিত করতে পারেনি বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
হামাস হাসপাতালটিকে তাদের টানেল ও অভিযান কেন্দ্রগুলোর জন্য ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর; অপরদিকে হামাস এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।