গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কাতারে ভারতীয় নৌবাহিনীর ৮ সাবেক কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড
ভারতীয় নৌবাহিনীর আট সাবেক কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কাতারের এক আদালত। ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচারবৃত্তির অভিযোগে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁরা কাতারের কারাগারে বন্দী আছেন।
ভারত সরকার এই রায়ে গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং বলেছে, তারা সমস্ত আইনি বিকল্প খতিয়ে দেখছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মিন্টের এক প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছরের আগস্টে বর্ষীয়ান এ সামরিক কর্মকর্তাদের কাতারের গোয়েন্দা সংস্থা আটক করে। ওই সময় তাঁরা একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করছিলেন। তবে আটকের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগের বিষয়ে জানায়নি কাতার।
রায় ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় আজ বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘মৃত্যুদণ্ডের রায়ে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত এবং বিস্তারিত রায়ের কপি হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। আমরা সামরিক কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্য ও আইন পরামর্শক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি এবং আমরা সমস্ত আইনি বিকল্প খুঁজে দেখছি। আমরা এই মামলাটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি এবং নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা সব ধরনের কনস্যুলার ও আইনি সহায়তা অব্যাহত রাখব। আমরা এ রায় নিয়ে কাতারের কর্তৃপক্ষের কাছেও যাব।’
আগের প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়, ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওই সাবেক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হয়ে একটি সাবমেরিন কর্মসূচির ওপর গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে। কাতারের কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ইলেকট্রনিক প্রমাণ থাকার ইঙ্গিতও দিয়েছে।
চলতি বছরের মার্চের শেষের দিকে এ মামলার প্রথম শুনানি হয়। নয়াদিল্লিকে তাঁদের আইনি সহায়তা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
চলতি বছরের এপ্রিলে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আটক ভারতীয়দের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে ভারত।
প্রতিবেদন অনুসারে, নৌবাহিনীর এ কর্মকর্তারা দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন। তাঁরা মিডগেট সাবমেরিন (ছোট আকারের—১৫০ টনের কম) তৈরির একটি স্পর্শকাতর প্রকল্পে কাজ করছিলেন। সূত্রের বরাত দিয়ে এএনআই দাবি করে, নৌবাহিনীর এ কর্মকর্তাদের গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ দিয়ে ফাঁসিয়েছে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা।
গ্রেপ্তার ভারতীয়রা হলেন ক্যাপটেন নবতেজ সিং গিল, বীরেন্দ্র কুমার বর্মা, সৌরভ বশিষ্ঠ, কমান্ডার অমিত নাগপাল, পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, সুগুনাকর পাকালা, সঞ্জীব গুপ্ত ও নাবিক রাজেশ।