ইউক্রেনের খারকিভে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৬ ডাককর্মী নিহত
ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই পেশায় ডাককর্মী। এছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন। শনিবার (২১ অক্টোবর) গভীর রাতে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় একটি ডাক বিতরণ কেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
রোববার (২২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খারকিভে নোভা পোশতার ডাকঘর অফিসে হামলা হয়েছে বলে টেলিগ্রামে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। হামলার পর ওই ডাকঘরের বেশ কিছু ছবিও প্রকাশ করেছেন তিনি।
জেলেনস্কির অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এসব ছবিতে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত ভবনটি দেখা যাচ্ছে।
অন্যদিকে খারকিভের আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ সিনিয়েহুবভ বলেছেন, নিহতরা সবাই ডাক কোম্পানিতে কাজ করত। টেলিগ্রামে তিনি লিখেছেন, নিহতদের বয়স ১৯ বছর থেকে ৪২ বছরের মধ্যে। বিস্ফোরণের কারণে কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
ওলেহ সিনিয়েহুবভ বলেন, বেসরকারি এই ডেলিভারি সংস্থা ও তাদের ভবনটি ‘পুরোপুরি বেসামরিক স্থাপনা’। তিনি আরও বলেন, ‘রাশিয়ারা খারকিভের শান্তিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ওপর সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে।’
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, হামলার পর উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং জরুরি পরিষেবার কর্মীরা ঘটনাস্থলে কাজ করছেন।
রাশিয়া অবশ্য এই হামলার বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। তবে দেশটি বরাবরই ইউক্রেনে আগ্রাসনের সময় বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার কথা অস্বীকার করে এসেছে। সিনিয়েহুবভ বলেছেন, হামলায় আহত সাতজন ‘মাঝারি আঘাত’ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া আহত অন্য সাতজনের অবস্থা ‘গুরুতর’ বলেও জানান তিনি।
ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ রাশিয়ান সীমান্ত থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার (১৯ মাইল) দূরে অবস্থিত। ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এই শহরটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধের শুরুর দিকে ভারী বোমা হামলার শিকার হয়।
চলতি মাসের শুরুর দিকে খারকিভের মেয়র ইহর তেরেখভ বলেছিলেন, তার শহরে ইউক্রেনের প্রথম ভূগর্ভস্থ স্কুলটি নির্মিত হবে, যাতে শিশুরা নিরাপদে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে।
এছাড়া দেশের দক্ষিণাঞ্চলে গত জুন মাস থেকে পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছে ইউক্রেন।