ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহে ফুরিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমাদের গোলাবারুদের মজুত
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহের ফলে ফুরিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমাদের গোলাবারুদের মজুত। রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের লড়াই জারি রাখতে ন্যাটোভূক্ত দেশগুলোকে অস্ত্রের উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে এ কথা বলেছেন ন্যাটো ও ব্রিটিশ কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।
ওয়ারশ সিকিউরিটি ফোরামে ন্যাটোর সবচেয়ে সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তা অ্যাডমিরাল রব বাউয়ার বলেন, ‘পাত্রের তলার অংশটা এখন দেখা যাচ্ছে।’ তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর সরকার ও সমরাস্ত্র উৎপাদনকারীদের আরও দ্রুত গতিতে অস্ত্র উৎপাদনের আহ্বান জানিয়েছেন।
বাউয়ার বলেছেন, ইউক্রেন প্রতি দিন কয়েক হাজার গোলাবর্ষণ করছে। এগুলোর বেশিরভাগ সরবরাহ করছে ন্যাটো।
ন্যাটোর সামরিক কমিটির চেয়ার হিসেবে দায়িত্বরত এই অ্যাডমিরাল বলেছেন, কয়েক দশক ধরে বিনিয়োগ কম থাকার কারণে ইউক্রেনকে নিজেদের অপূর্ণাঙ্গ মজুত থেকেই অস্ত্র সরবরাহ করছে ন্যাটো দেশগুলো।
তিনি আরও বলেছেন, আমাদের অনেক বেশি গোলাবারুদ প্রয়োজন। ত্রিশ বছর ধরে আমরা একসঙ্গে আমাদের মুক্ত অর্থনীতিতে এক সঙ্গে অনেক দারুণ কাজ করেছি। কিন্তু যখন একটি যুদ্ধ চলছে তখন আমাদের সশস্ত্রবাহিনীর জন্য যথেষ্ট কাজ করতে পারিনি।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জ্যামস হিপ্পি ফোরামে বলেছেন, পশ্চিমাদের গোলাবারুদের মজুত কমে আসছে। ন্যাটো দেশগুলোকে প্রতিশ্রুতি অনুসারে জাতীয় সম্পদের ২ শতাংশ ব্যয় করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, আমাদের মজুত ফুরিয়ে যাচ্ছে বলে আমরা থেমে যেতে পারি না। ইউক্রেনকে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ আমাদের দিতে হবে। আমরা সহযোগিতা বন্ধ করে দিলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুতিন (রুশ প্রেসিডেন্ট) যুদ্ধ থামিয়ে দেবেন না। এর অর্থ হলো আমাদের সহযোগিতা দিতে হবে এবং নিজেদের মজুত গড়ে তুলতে দিনরাত কাজ করতে হবে।
বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র নির্মার্তাদের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত কাজ করতে হবে। তা না হলে যুদ্ধে ইউক্রেন সমস্যায় পড়তে পারে।
আটলান্টিক কাউন্সিলের অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো টমাস ওয়ারিক গত সপ্তাহে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ইউক্রেনে যুদ্ধাস্ত্র পাঠাচ্ছে। কিন্তু সেগুলো যত তাড়াতাড়ি প্রয়োজন তত দ্রুত তারা পাচ্ছে না।