ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে চলতি বছর নিখোঁজ ২ হাজার ৫০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টাকালে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৫০০ জনের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাসী নিহত বা নিখোঁজ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর এএফপির।
জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) নিউইয়র্ক অফিসের পরিচালক রুভেন মেনিকদিওয়েলা নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৫০০ জনের বেশি লোককে মৃত বা নিখোঁজ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
নিহত বা নিখোঁজ অভিবাসীদের এই সংখ্যা ২০২২ সালের একই সময়ের চেয়ে ১ হাজার ৬৮০ জন বেশি। রুভেন মেনিকদিওয়েলা যোগ করেন, জনগণের মনোযোগ থেকে দূরে স্থলেও অনেকে প্রাণ হারিয়েছে।
মেনিকদিওয়েলা বলেন, সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলো থেকে স্থলপথে যাত্রার পর অভিবাসীরা তিউনিসিয়া ও লিবিয়ান উপকূল থেকে সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার এই রুট বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, অভিবাসী ও উদ্বাস্তুরা প্রতি পদক্ষেপে মৃত্যু এবং চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকিতে রয়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ ইউরোপে সমুদ্রপথে প্রায় ১ লাখ ৮৬ হাজার লোক ইতালি, গ্রিস, স্পেন, সাইপ্রাস ও মাল্টায় এসেছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ ইতালিতে এসেছে, যা ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় ৮৩ শতাংশ বেড়েছে।
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার প্রস্থান পয়েন্ট হিসেবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্টের মধ্যে আনুমানিক ১ লাখ ২ হাজার শরণার্থী ও অভিবাসী তিউনিসিয়া থেকে এবং ৪৫ হাজার লিবিয়া থেকে সাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
মেনিকদিওয়েলা বলেন, তিউনিসিয়ায় আনুমানিক ৩১ হাজার জনকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার বা আটক করা হয়েছে। অন্যদিকে লিবিয়ায় এই সংখ্যা ১০ হাজার ৬০০।