অধিকৃত পশ্চিম তীরে দুই ফিলিস্তিনিকে মারল ইসরায়েলি বাহিনী
অধিকৃত পশ্চিম তীরের এক শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালিয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হামাসের এক যোদ্ধাসহ দুই ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
রোববার পশ্চিম তীরের জরুরি সেবাবিষয়ক কর্মী ও হামাসের সদস্যরা ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী রোববার ভোরের দিকে তুলকারম শহরের কাছের নুর শামস শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে। এ সময় ইসরায়েলি বাহিনীর সাথে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের ঘণ্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধ হয়।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, শরণার্থী শিবিরে ‘সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযান’ পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানের সময় হামাসের একটি কমান্ড সেন্টার ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে অভিযানস্থল থেকে কম্পিউটার, নজরদারি ক্যামেরা, কয়েক ডজন বিস্ফোরক ডিভাইস এবং বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনী বলেছে, অভিযান চলাকালীন সন্দেহভাজনরা ইসরায়েলি সৈন্যদের লক্ষ্য করে গুলি ও বিস্ফোরক ডিভাইস নিক্ষেপ করেছে। পরে সৈন্যরা তাজা গুলি চালিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
অভিযানে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এক সৈন্য আহত হয়েছেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
গাজা থেকে পশ্চিম তীরে নিজেদের ঘাঁটি স্থাপনকারী গোষ্ঠী হামাস বলেছে, ইসরায়েলি সৈন্যদের গুলিতে ওসাইদ আবু আলী (২১) নামের একজন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। তিনি হামাসের সশস্ত্র শাখার সদস্য ছিলেন।
নিহত অপর ফিলিস্তিনি ৩২ বছর বয়সী আবদেল-রহমান আবু দাগাশের পরিবার বলেছে, বাড়ির বাইরে কী ঘটছে, তা দেখার জন্য বাসার ছাদে গিয়েছিলেন তিনি। এ সময় ইসরায়েলি সৈন্যদের স্নাইপারের গুলিতে নিহত হয়েছেন তিনি।
তবে অভিযানের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কোনও মন্তব্য জানা যায়নি।
সূত্র: রয়টার্স।