রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় নৌ সদরদপ্তরে ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এই ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া হামলার পর সেখানে আগুনও ধরে যায়। রাশিয়া অবশ্য বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার কথা জানিয়েছে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সেভাস্তোপলে অবস্থিত রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে শুক্রবার অন্তত একটি ইউক্রেনীয় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলে স্থানীয় গভর্নর মিখাইল রাজভোজায়েভ টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে পৃথকভাবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউক্রেনীয় এই হামলায় একজন সেনা নিহত হয়েছেন। এছাড়া রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী মোট পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে।
রাজভোজায়েভ বলেছেন, যদিও আর কোনও হামলার আশঙ্কা নেই তারপরও শহরের কেন্দ্রস্থলটি এড়িয়ে চলতে স্থানীয়দের অনুরোধ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং কিছু রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
রাজভোজায়েভ বলেন, হামলায় কোনও বেসামরিক হতাহত হয়নি বা বেসামরিক অবকাঠামো ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েনি।
অন্যদিকে ক্রিমিয়ায় রাশিয়া-নিযুক্ত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার বাখচিসারাই শহরের কাছে আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে। ক্রিমিয়ার প্রধান সের্গেই আকসিওনভ বলেছেন, উপদ্বীপের ওপর ‘ক্রুজ মিসাইল’ ভূপাতিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে সামরিক অভিযান চালিয়ে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দ্বীপের দখল নেয় রাশিয়া। গত বছর ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর এই অঞ্চলটি ইউক্রেনীয় আক্রমণের শিকার হতে শুরু করে। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের হামলা ও হামলার চেষ্টা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অবশ্য সামরিক অভিযান চালিয়ে ইউক্রেনের কাছ থেকে রাশিয়া ক্রিমিয়া দ্বীপের দখল নিলেও বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ মস্কোর সেই দখলদারিত্বকে স্বীকৃতি দেয়নি। এছাড়া ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছেন।