ইরানে সর্বোচ্চ ১০ বছরের সাজার বিধান রেখে হিজাব বিল পাস
পোশাক বিধি অমান্যে সর্বোচ্চ ১০ বছর সাজার বিধান রেখে একটি বিল পাস করেছ ইরানের পার্লামেন্ট। বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, বুধবার পাস হওয়া বিলটিকে আইনে পরিণত করতে অনুমোদন দরকার ইরানের ‘গার্ডিয়ান কাউন্সিলের’।
ইরানের পার্লামেন্ট সদস্যরা ‘হিজাব ও সতীত্ব বিল’ নামের বিলটির পক্ষে ভোট দেন।
প্রস্তাবিত আইনটিতে বলা হয়, জনসমক্ষে ‘অনুপযুক্ত’ পোশাক পরা নারীকে দেশের আইন অনুযায়ী ‘চতুর্থ মাত্রার’ শাস্তি দেয়া হবে। বিলে নির্দিষ্ট বিধান অমান্যকারী নারীদের পাঁচ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১৮ কোটি থেকে ৩৬ কোটি রিয়াল জরিমানা করা হবে।
বিলটি এখন ‘গার্ডিয়ান কাউন্সিলের’ অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। এ কাউন্সিল আলেম ও আইনবিদদের নিয়ে গঠিত। বিলটিকে সংবিধান ও শরিয়াহর সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ মনে করলে এতে ভেটো দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে কাউন্সিলের।
২০২২ সালে হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনার এক বছর পর পোশাক বিল পাস করা হয়। মাহসাকে ‘অনুপযুক্ত’ হিজারের জন্য আটক করেছিল পুলিশ।
মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে ইরানের নারীরা তাদের মাথার স্কার্ফ পুড়িয়েছে যা দেশব্যাপী বিক্ষোভর সৃষ্টি করেছে। ওই সময় নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর ব্যবস্থায় কয়েক শ মানুষ প্রাণ হারান।
ইরানের আইন অনুযায়ী দেশটির শরিয়ার ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করে, বয়ঃসন্ধির ঊর্ধ্বে সব মেয়ে ও নারীদের অবশ্যই তাদের চুল হিজাব দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। একই সঙ্গে মুখ ও শরীর ঢাকতে তাদের ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে।
বর্তমানে যারা দেশের পোশাক সংক্রান্ত আইন মানছেন না, তাদের ১০ দিন থেকে দুই মাসের জেল বা ৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার রিয়াল জরিমানা করা হচ্ছে।