ইরান ফেরত পেল ৬০০ কোটি ডলার, মুক্ত ৫ মার্কিন নাগরিক
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় সোমবার পাঁচ মার্কিন নাগরিককে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছে ইরান। তাঁরা কাতারের দোহা বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন। তাঁদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এপি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রও পাঁচ ইরানিকে মুক্তি দিয়েছে। তা ছাড়া এ চুক্তির আওতায় ইরানের জব্দ করা বিপুল অর্থও ফেরত দেওয়া হয়েছে।
ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মোহাম্মাদ রেজা ফারজিন বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় আটকে থাকা ৬০০ কোটি ডলার আল আহলি ও দুখান ব্যাংকের ইরানি অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। কাতারের ওই দুই ব্যাংকে ইরানের ছয়টি অ্যাকাউন্টে এসব অর্থ জমা হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ায় আটকে থাকা ইরানি অর্থ ছাড় প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় উরি ও আইবিকে ব্যাংকের পাশাপাশি মেল্লাত ব্যাংকের সিউল শাখায় আটকে থাকা সব ইরানি অর্থ গত ১০ আগস্ট সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানো হয়। ওই অর্থকে ইউরোতে রূপান্তরিত করতে সেখানে পাঠানো হয়েছিল।
ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, গতকাল রোববার কাতারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে জানানো হয় সে দেশে ইরানি ব্যাংকগুলোর অ্যাকাউন্ট সক্রিয় হয়েছে। এরপর ইরানের অ্যাকাউন্টে ইউরো জমা হয়।
দক্ষিণ কোরিয়া ইরানের অর্থ আটকে রাখায় যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা আদায়ের লক্ষ্যে কাজ চলছে বলেও তিনি জানান।
মোহাম্মাদ রেজা ফারজিন বলেন, আরও কয়েকটি দেশে আটকে থাকা ইরানি অর্থ ছাড়ের বিষয়ে কাজ চলছে। বিষয়টি চূড়ান্ত হলে তা ঘোষণা করা হবে।
মুক্তি পাওয়াদের মধ্যে একজনের নাম সিয়ামাক নামাজি। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমি আজ মুক্ত হতাম না, যদি আপনারা আমার হয়ে কথা না বলতেন। এর জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।’
তেহরান থেকে ওই পাঁচজনকে বহনকারী বিমানটি কাতারের দোহায় অবতরণ করার সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘আজ ইরানে বন্দী পাঁচজন নিরপরাধ আমেরিকান অবশেষে দেশে ফিরে আসছেন।’