ভারতের মণিপুরে কারফিউ উপেক্ষা করে বিক্ষোভ, আহত ৪০
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে কারফিউ উপেক্ষা করে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক হাজার বাসিন্দা। বুধবার রাজ্যের বিষ্ণুপুর জেলায় রাস্তায় সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তারক্ষীদের ব্যারিকেড ভেঙে নিজেদের জমি ও বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলারক্ষী বাহিনী কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় মঙ্গলবার থেকে বিষ্ণুপুরসহ মণিপুর উপত্যকার পাঁচটি জেলাতে কারফিউ জারি করা হয়েছিল। নিরাপত্তাজনিত এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিষ্ণুপুর, কাকচিং, থৌবাল, ইম্ফল পূর্ব এবং ইম্ফল পশ্চিম জেলায় এই কারফিউ জারি ছিল।
বুধবার মেইতেই সম্প্রদায়ের সংগঠনগুলোর সমন্বয় কমিটির আহ্বানে বিক্ষোভকারীরা কারফিউ উপেক্ষা করে রাস্তায় নামেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি তাদেরকে টরবাং এলাকায় যেতে দিতে হবে।
মে মাস থেকে সেখানে সহিংসতা শুরুর পর ওই এলাকা থেকে চলে যেতে হয় মেইতেইদের। এর আগে মেইতেইদের সমন্বয় কমিটি সেনাদের ব্যারিকেড প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন তাদের দাবি মানেনি।
মণিপুরের মন্ত্রী সাপাম রঞ্জন বলেছেন, অনেক এলাকা থেকেই ব্যারিকেড তুলে নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া টরবাং এলাকার যে ৭০০ জন বিভিন্ন ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাদের অনেকেই নিজেদের বাড়িতে ফিরে এসেছেন।
মেইতেইদের নেতা জিতেন্দ্র নিঙ্গোম্বা বলেছেন, আমরা চাই ব্যারিকেডগুলো সরানো হোক। কারণ এগুলোর ওপারে মেইতেইর জমি রয়েছে। আমরা সেখানে পুনর্বাসন এবং আমাদের জমি ফেরত পেতে চাই।
মে মাসে শুরু হওয়া জাতিগত সহিংসতা এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি মণিপুরে। ৩ মে থেকে এই রাজ্যে কুকি-জো-চিন ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে। সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত দেড়শ মানুষ।