অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে রেকর্ড সংখ্যক হত্যাকাণ্ড: এএপিপি
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মিয়ানমারের অং সান সু চি’র সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক বাহিনী। এরপর থেকে জান্তাবিরোধী আন্দোলন চলছে দেশটি।
চলতি ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ৪ হাজারের অধিক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে। এ তথ্য জানিয়েছে পর্যবেক্ষক সংস্থা অ্যাসিস্টেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি)।
মিয়ানমারে গুম, হত্যা, নির্যাতন ও গ্রেফতার প্রসঙ্গে নজর রাখছে এই সংস্থাটি। পর্যালোচনা করে তারা দেখেছে, এ বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ১ হাজার ৮০ জন বেসামরিক নাগরিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
এএপিপি বলছে, এ বছর সাধারণ লোকজনের ওপর হামলা তীব্র হওয়ায় প্রাণহানি বেড়েছে উদ্বেগজনকভাবে।
পর্যবেক্ষণ সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, জান্তার বিমান থেকে গোলাবর্ষণ, বোমা হামলাসহ আরও বিভিন্নভাবে মাসে গড়ে ১৩০ জন বেসামরিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
এদিকে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে শুরু থেকে সশস্ত্র প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে ওঠেছে। এসব গোষ্ঠীতে মিয়ানমারের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন যোগ দিয়েছে। বিশেষ করে সাগাইং অঞ্চলে প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়েছে জান্তা। ফলে অঞ্চলটিতে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও অগ্নিসংযোগ।
এই বছর ৬ শতাধিক নারী সামরিক সদস্যদের হাতে হত্যা এবং ১৮ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে এএপিপি।
মিয়ানমারে এ ধরনের সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধে সামরিক বাহিনীকে কঠোরভাবে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কথায় কান দিচ্ছে না তারা। ফলে দেশটির ওপর কয়েক ধাপে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পশ্চিমারা।
সূত্র: ইরাবতী