আফগান নারীদের দুবাইয়ে পড়াশোনার জন্য যেতে দিচ্ছে না তালেবান
‘আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যায়গুলোতে নারীদের পড়াশোনা নিষিদ্ধ করেছে তালেবান। তাই বৃত্তি নিয়ে বিদেশে পড়তে চেয়েছিলাম। বিমান বন্দরে আমার হাতে স্টুডেন্ট ভিসা ও বিমানের টিকিট দেখে তালেবান জানায়, স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে আফগান নারীরা বিদেশ যেতে পারবে না’… ২০ বছর বয়সী আফগান নারী শিক্ষার্থী নাটকাই (ছদ্মনাম) বিবিসিকে এসব বলেন।
পরিবারকে বিদায় জানিয়ে বুধবার (২৩ জুলাই) বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল নাটকাই। তবে বিমানবন্দরেই ভেস্তে যায় তার সব স্বপ্ন। নাটকাই-এর মতো অন্তত ৬০ নারী শিক্ষার্থী বিমানবন্দর থেকে ফিরে আসেন।
বিবিসির প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা যায়, কালো হিজাব ও হেড স্কার্ফ পরা মেয়েরা লাগেজের পাশে বিধ্বস্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন।
তালেবান সরকার আফগান নারীদের একা ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তারা কেবল স্বামী, ভাই কিংবা বাবার সঙ্গে ভ্রমন করতে পারবে। তবে এই নিয়ম মানার পরও তিন নারীকে বিমান থেকে নামিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বোনকে বিমানবন্দরে নিয়ে আসা শামস আহমেদ নামে একজন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বৃত্তিটি আমার বোনকে নতুন আশা দিয়েছিল। সে আশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল, তবে এখন হতাশ হয়ে ফিরতে হলো।’
নাটকাই বলেন, ‘আমার দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ খুবই কম। তারপরও আমি পড়াশোনা চালিয়ে গেছি।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য আমিরাতের ধনকুবের শেখ খালাফ আহমদ আল হাবতুরের কাছ থেকে বৃত্তি পায় নাটকাই।
২০২২ সালে আফগান নারী শিক্ষার্থীদের জন্য এই বৃত্তি চালু করা হয়। আফগানিস্থানের বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের পড়াশোনা নিষিদ্ধ করার পরই এই বৃত্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
বিবিসির তথ্য অনুসারে, ১০০ আফগান নারী শিক্ষার্থী এই বৃত্তি পেয়েছে।