আল্টিমেটামের পর নাইজারে ফ্রান্সের দূতাবাসে বিদ্যুৎ, পানি ও খাদ্য সরবরাহ বন্ধ
নাইজারের রাজধানী নিয়ামিতে অবস্থিত ফ্রান্সের দূতাবাসের বিদ্যুৎ, পানিসহ জরুরি পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সামরিক সরকার। শুধু তাই নয়, বাইরে থেকে দূতাবাসে কোনও খাবার ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। সেখানকার একাধিক সূত্রের বরাতে রবিবার (২৭ আগস্ট) এ খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
সোমবার তুর্কিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে জানা গেছে, নাইজারের জিন্দারে অবস্থতি ফরাসি ক্যানসুলেটেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নাইজারে ফরাসি ঘাঁটির পানি, বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং খাদ্য পণ্য স্থগিত করার নিদের্শ দেন ন্যাশনাল সাপোর্ট কমিটি ফর দ্য সেফগার্ডিং অব কান্ট্রির (সিএনএসপি) সভাপতি এলহ ইসা হাসুমি বোরিমা।
যারা পণ্য ও পরিষেবা সরবরাহে ফরাসিদের সহায়তা করবে তারা ‘সার্বভৌম জনগণের শত্রু’ বলে বিবেচিত হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
এর আগে ফরাসি দূতকে নাইজার ছাড়তে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম বেঁধে দেয় জান্তা। শনিবার প্ল্যাকার্ড বহন করে ফ্রান্সবিরোধী স্লোগান দেয় জান্তা সমর্থকরা। নাইজারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য ফ্রান্স সরকারকে অভিযুক্ত করে তারা। ফরাসি সেনা ও রাষ্ট্রদূত নাইজার না ছাড়লে তাদের দূতাবাস এবং সামরিক ঘাঁটিতে হামলার হুমকিও দেওয়া হয়।
নাইজার এক সময় ফ্রান্সের ঔপনিবেশ ছিল। কিন্তু সম্প্রতি দেশটির পশ্চিমাপন্থি প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক সরকার। বন্দি করে রেখেছে তাকে। বাজুমকে মুক্তি দিয়ে জান্তাকে ক্ষমতা ছাড়তে হুমকি দিয়ে আসছে আফ্রিকা ইউনিয়নের নেতারা।