ইমরান খানের পর এবার তার দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট কুরেশী গ্রেপ্তার
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পর এবার তার দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহ মেহমুদ কুরেশীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির পক্ষ থেকে এ খবর জানানো হয়। গ্রেপ্তার হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে শাহ মেহমুদ বলেছিলেন, যদি পূর্বনির্ধারিত সময়ে দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হয় তবে সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে তিনি আদালতের দ্বারস্ত হবেন।
দুইবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা শাহ মেহমুদকে ঠিক কী অভিযোগে আটক করা হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার করা হয়নি বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন পিটিআই মুখপাত্র জুলফি বুখারি।
এ বছর নভেম্বরে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া কথা। তার আগে গত ৯ অগাস্ট মধ্যরাতের পর পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার তিন দিন আগেই দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।
জাতীয় পরিষদ বিলুপ্তির মাধ্যমে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের পট প্রস্তুত হয়েছে বটে। কিন্তু দেশে নতুন আদমশুমারির কাজ শুরু হওয়ায় ভোট কয়েক মাস পিছিয়ে যেতে পারে বলে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের একজন মন্ত্রী।
পরে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তা কুনওয়ার দিলশাদও রয়টার্সকে একই মত জানান।
এদিকে, পিটিআই নেতারা শুরু থেকেই বলছে, তারা কোনো অজুহাতেই জাতীয় নির্বাচন পেছাতে দেবে না। যদিও তোষাখানা মামলায় কারাদণ্ডিত দলটির প্রধান ইমরান খান পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হয়েছেন।
শাহবাজ সরকার দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর এখন একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়েছে এবং নিয়মানুয়াী ৯০ দিনের মধ্যে তাদের নির্বাচন আয়োজন করার কথা।
পিটিআই ভাইস প্রেসিডেন্টকে কেনো আটক করা হয়েছে যে বিষয়ে জানতে রয়টার্স থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
পিটিআই মুখপাত্র বুখারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) এ শাহ মেহমুদকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, তিনি ‘একটি সংবাদ সম্মেলন ডেকে পাকিস্তানে চলতে থাকা সব অত্যাচার এবং প্রাক-নির্বাচন কারচুপির বিরুদ্ধে পিটিআই-এর অবস্থানকে পুনরায় নিশ্চিত করার কারণে গ্রেপ্তার হয়েছেন’।