পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গির্জায় ভাংচুর, বাড়িতে অগ্নিসংযোগ
কোরআনকে অসম্মান করা হয়েছে অভিযোগ তুলে পাকিস্তানের ফয়সালাবাদে মুসলিমদের একটি দল স্থানীয় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের উপর হামলা চালায়। একাধিক গির্জায় ভাংচুর এবং বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে।
পুলিশ জানায়, শিল্পনগরী ফয়সালাবাদের জারানওয়ালাতে বুধবার হামলার ওই ঘটনা ঘটে। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের যে দুইজনের বিরুদ্ধে কোরআনকে অসম্মান করার অভিযোগ উঠেছে তারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা হামলার ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শাকিল মসিহ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, প্রথমে তিনি জনগণকে উসকানি দেওয়া ঘোষণা শুনতে পান এবং তারপরই দেখতে পান একদল উত্তেজিত জনতা তাদের খ্রিস্টান পাড়ার দিকে যাচ্ছে।
“আমি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাই। আরো অনেক পরিবারও একই কাজ করেছে।” পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন প্রাদেশিক পুলিশ প্রধান উসমান আনোয়ার।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওই দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় বলা হয়, ওই দুই ব্যক্তির কাছে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন এর কয়েকটি পাতা পাওয়া গেছে। সেগুলোর উপর লাল কালিতে অসম্মানজনক মন্তব্য করা ছিল।
পাকিস্তানে ব্লাসফেমি বা ধর্মঅবমাননার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। যদিও এখনো কাউকে এই সাজা দেওয়া হয়নি। তবে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় ব্লাসফেমির অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিদের নিহত হওয়ার ঘটনা সেখানে প্রায়ই ঘটে। সাবেক একজন প্রাদেশিক গভর্নর এবং একজন সংখ্যালঘু মন্ত্রীকেও ব্লাসফেমির অভিযোগ তুলে গুলি করে হত্যা করা হয়।