রাশিয়ার হামলায় ২২ দিনের শিশুসহ নিহত ৭
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় ৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে মাত্র ২২ দিন বযসী এক শিশুও রয়েছে। এছাড়া ওই একই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে তার ১২ বছর বয়সী ভাই ও তাদের বাবা-মা। হামলায় আহত হয়েছেন আরও ২০ জন।
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসনে রুশ গোলাবর্ষণে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় একদিনের শোক ঘোষণা করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। সোমবার (১৪ আগস্ট) পৃথক দুই প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার দক্ষিণ ইউক্রেনে রাশিয়ার গোলাবর্ষণে সাতজন নিহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে মাত্র ২২ দিন বয়সী এক শিশু, তার ১২ বছর বয়সী ভাই এবং তাদের বাবা-মা রয়েছেন। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইগর ক্লাইমেনকো বলেছেন, খেরসনের শায়রোকা বলকা গ্রামে তাদের পারিবারিক বাড়িতে বোমা হামলা চালানো হয়েছে।
এছাড়া ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে ওই গ্রামের আরও একজন বাসিন্দা এবং পার্শ্ববর্তী স্তানিস্লাভের দুই ব্যক্তিও রয়েছেন। ক্লাইমেনকো বলেছেন, ‘সন্ত্রাসীদের থামাতে হবে। তাদের অবশ্যই বলপ্রয়োগ করে থামাতে হবে। তারা আর কিছু বোঝে না।’
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পরে শায়রোকা বালকা গ্রামে চালানো রুশ ওই হামলার কিছুক্ষণ পরের ছবি শেয়ার করেন। ওই ছবিতে হামলার শিকার ভবন থেকে কালো ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। রাশিয়ার এই গোলাবর্ষণে আরও ১৩ জন আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
তবে রোববারের এই রুশ হামলায় আহতের সংখ্যা ২০ জন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
এদিকে খেরসনের শায়রোকা বলকা গ্রামে ‘নৃশংস’ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া নিজের প্রতিদিনের ভাষণে তিনি বলেন, ‘পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একটি শিশুকন্যা রয়েছে, যার বয়স মাত্র ২২ দিন। তার ভাই, মাত্র ১২ বছর বয়সী। মা ওলেসিয়াও মারা গেছে… তিনি মাত্র ৩৯ বছর বয়সী।’
তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র খেরসনে রাশিয়ান গোলাবর্ষণের ১৭ টি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে এবং এর বাইরেও অনেক এলাকায় গোলাবর্ষণ হয়েছে। এসময় রাশিয়াকে তার সব অপরাধের জবাব দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
বিবিসি বলছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত বছর ইউক্রেনের চারটি এলাকাকে রুশ ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দেন। সেই চার ইউক্রেনীয় অঞ্চলের মধ্যে খেরসনও রয়েছে। তবে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী গত বছরের নভেম্বরে এই অঞ্চলের পশ্চিম অংশ পুনরায় দখল করে নেয়।
অবশ্য রাশিয়ান সৈন্যরা ডিনিপ্রো নদীর ওপার থেকে এই এলাকায় গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে।