নাইজারে জান্তার সমর্থনে রাজপথে অভ্যুত্থানপন্থিদের মিছিল

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন

নাইজারে জান্তার সমর্থনে রাজপথে অভ্যুত্থানপন্থিদের মিছিল

পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে ২৬ জুলাই প্রেসিডেন্টের গার্ডের সদস্যরা ক্ষমতা দখলের পর থেকে নাইজারে অভ্যুত্থানপন্থি মিছিলে তিনবার যোগ দিয়েছেন ইয়ে ইসুফু। দেশের স্ব-ঘোষিত নতুন নেতা আবদুরাহমানে চিয়ানিকে স্বাগত জানিয়ে রাজধানী নিয়ামির রাস্তায় শতাধিক মানুষের সঙ্গে মিলে গেয়েছেন গান, নেড়েছেন প্লে-কার্ড।

অভ্যুত্থানপন্থিরা ‘সাম্রাজ্যবাদী ফ্রান্স’ এবং পশ্চিম আফ্রিকান ব্লক ইকোওয়াসের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপ এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে ফিরিয়ে আনার হুমকি দিয়েছে ফ্রান্স ও ইকোওয়াস।

নাইজারে জান্তার সমর্থনে রাজপথে অভ্যুত্থানপন্থিদের মিছিল
অভ্যুত্থানপন্থি বিক্ষোভের সময় রাশিয়ান পতাকা প্রদর্শন করা হয়। ছবি ইপিএ

ইসুফু রাজধানীর একটি জলবায়ু ইনস্টিটিউটে কাজ করেন। নাইজারে নিরাপত্তাহীনতা, দুর্নীতি এবং মন্দা অর্থনীতির কারণে হতাশ তিনি। এ ছাড়া জঙ্গিবাদ তো আছেই। আল-কায়েদা এবং আইএস-এর সঙ্গে যুক্ত সশস্ত্র গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করছে বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশটি।

ইসুফু বলেন, ‘তারা (ফ্রান্স) প্রায় ৬৩ বছর ধরে এখানের ইউরেনিয়াম নিয়ে যাচ্ছে। অথচ নাইজারের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে এমন একটি বাঁধও নেই।’

- বিজ্ঞাপন -

তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি সামরিক শাসন নাইজারের সমস্যা সমাধান করতে পারবে। কারণ তারা জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। জান্তা বলেছে, তারা আমাদের অর্থনীতির মন্দা কাটাতে কিছু অন্যান্য কৌশল নিয়ে ভাবছে।’

মালি, গিনি, বুর্কিনা ফাসো এবং চাদের পর পঞ্চম পশ্চিম আফ্রিকান দেশ নাইজার যেটি অভ্যুত্থানের কবলে পড়েছে। ২০২০ সাল থেকে সেনাবাহিনীর হাতে পতন হয়েছিল ওই চার দেশের সরকারের।

নাইজারে জান্তার সমর্থনে রাজপথে অভ্যুত্থানপন্থিদের মিছিল
সামরিক অভ্যুত্থানের পর রাজধানী নিয়ামেতে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমের দলের সদর দপ্তরে আক্রমণ এবং আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। ছবিটি গত ২৭ জুলাই তোলা। ছবি রয়টার্স

নাইজারে অভ্যুত্থানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। পশ্চিম আফ্রিকান অর্থনৈতিক ব্লক ইকোওয়াস ইতোমধ্যে নাইজারের ওপর নো-ফ্লাই জোন এবং সীমান্ত বন্ধসহ নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

শুধু তাই নয়, আঞ্চলিক ব্লকটি নাইজারের সামরিক বাহিনীকে ৬ আগস্টের মধ্যে অভ্যুত্থান থেকে সরে আসার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে। বলেছে, তা না করলে সামরিক হস্তক্ষেপের ঝুঁকি নিতে হবে জান্তা সরকারকে।

সামরিক অভিযান মোকাবিলায় ওয়াগনারের সহায়তা চাইল নাইজারের জান্তা
অভ্যুত্থানের পর নাইজারের রাজধানী নিয়ামিতে কমে গেছে লোকজন। ছবি রয়টার্স

নাইজেরিয়া প্রতিবেশী নাইজারের ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। তারাও আড়াই কোটি জনসংখ্যাকে অন্ধকারে নিমজ্জিত রেখে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।

- বিজ্ঞাপন -

সূত্র: আল জাজিরা

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!