৬৮ তলা থেকে পড়ে ফরাসি ‘ডেয়ারডেভিল’ লুসিডির মৃত্যু
বিশ্বজুড়ে আকাশচুম্বি ভবনের শীর্ষে উঠে কোনো অবলম্বন ছাড়াই ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন কসরৎ দেখিয়ে তাক লাগিয়ে দেওয়া ফ্রান্সের নাগরিক রেমি লুসিডি হংকংয়ের একটি আবাসিক ভবনের ৬৮ তলা থেকে পড়ে মারা গেছেন।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবর অনুযায়ী, নগরীটির ট্রেগুন্টার টাওয়ার কমপ্লেক্সের শীর্ষে ওঠার সময় পড়ে যান তিনি। ঘটনাস্থলেই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ভবনটির শীর্ষ তলায় বিশেষ ভাবে নকশা করা ঢালু কাঁচের দেয়ালের অ্যাপার্টমেন্টের (পেন্টহাউস) বাইরে পৌঁছে তিনি আটকা পড়ে গিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ সময় তিনি উন্মত্তভাবে একটি জানালায় ধাক্কা দিচ্ছিলেন এবং এতে ওই অ্যাপার্টমেন্টের এক গৃহকর্মী ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পা হড়কে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
হংকংয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় ভোর ৬টার দিকে লুসিডি ওই ভবনে যান এবং গেইটে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীদের জানান, তিনি ৪০ তলায় তার এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন।
লুসিডি তার পরিচিত না, কথিত ওই বন্ধু নিরাপত্তা রক্ষীদের এমনটি নিশ্চিত করার পর তারা তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ততক্ষণে তিনি ভবনের একটি লিফটে ঢুকে পড়েন।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, লুসিডি ভবনটির ৪৯তম তলায় পৌঁছানোর পর ভবনের শীর্ষে যাওয়ার জন্য সিঁড়ি বাইছেন। পরে লোকজন ছাদমুখি ছোট একটি দরজা খোলা অবস্থায় পেলেও তাকে কোথাও দেখতে পাননি বলে জানিয়েছেন।
তবে সকাল ৭টা ৩৮ মিনিটেও তিনি জীবিত ছিলেন। ওই সময় পেন্টহাউসের কাঁচের জানালায় ধাক্কা দিয়েছিলেন তিনি। এতে ওই অ্যাপার্টমেন্টের এক গৃহকর্মী আতঙ্কিত হয়ে পুলিশে খবর দেন।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ওই পেন্টহাউসের বাইরে লুসিডি আটকা পড়ে যাওয়ার পর জানালায় ধাক্কা দিয়ে সাহায্য চেয়েছিলেন, কিন্তু নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যান তিনি।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লুসিডির ক্যামেরাটি উদ্ধার করেছে। সেটিতে সুউচ্চ ভবনগুলোর শীর্ষ তার করা বিভিন্ন দুঃসাহসী কসরতের ভিডিও আছে বলে জানা গেছে।
তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।