রাশিয়ায় দেখা গেছে ওয়াগনার প্রধান প্রিগোশিনকে
সেন্ট পিটার্সবার্গে আফ্রিকা-রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলনের সময় তোলা ছবিতে রুশ ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিনকে দেখা গেছে।
ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ছবিতে দেখা যায়, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের (সি এ আর) রাষ্ট্রদূত ফ্রেডি মাপুকার সাথে হাত মেলাচ্ছেন মি. প্রিগোশিন। ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করেন দিমিত্রি সিটি – যিনি সিএআরে ওয়াগনারের কার্যক্রমের ব্যবস্থাপক বলে খবরে বলা হয়।
জুন মাসে ওয়াগনারের ব্যর্থ বিদ্রোহের পর এই প্রথম রাশিয়ার ভেতরে মি. প্রিগোশিনকে নিশ্চিতভাবে দেখা গেল।
শনাক্তকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে, এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণ মিলিয়ে দেখে বিবিসি ভেরিফাই নিশ্চিত করেছে যে সেন্ট পিটার্সবার্গের ট্রেজিনি প্যালেস হোটেলে মি. মাপুকা ও মি. প্রিগোশিনের এই সাক্ষাত হয়।
হীরার খনি-সমৃদ্ধ মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে এখন বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সরকারকে সহায়তা করছে ওয়াগনার বাহিনীর ভাড়াটে যোদ্ধারা।
এর আগে গত সপ্তাহে মি. প্রিগোশিনকে বেলারুসে দেখা গিয়েছিল। টেলিগ্রামের একটি চ্যানেলে এক ভিডিওতে দেখা যায়, মি. প্রিগোশিন যোদ্ধাদের স্বাগত জানাচ্ছেন এবং ইউক্রেনে যুদ্ধক্ষেত্রে সম্প্রতি যা ঘটছে তার সমালোচনা করছেন। তিনি এমন আভাসও দেন যে ওয়াগনার পরে কোন এক সময় ওই যুদ্ধে আবার যোগ দিতে পারে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে সাফল্য দাবি করছে কিয়েভ
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বলছে, দক্ষিণ-পূর্বের একটি যুদ্ধক্ষেত্রে তারা সাফল্য লাভ করেছে। অন্যদিকে পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলছেন একটি বড় আকারের অগ্রাভিযান চলছে।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির প্রকাশ করা এক ভিডিওতে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা বলছে, তারা স্টারোমাইওরস্ক নামে একটি গ্রাম পুনর্দখল করেছে। এই গ্রামটির অবস্থান জাপোরিশার ১৫০ কিমি পূর্বদিকে, এবং ব্যাপক গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলা চালিয়ে এটি মুক্ত করা হয় বলে ইউক্রনীয় বাহিনী বলছে।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এ গ্রামটিতে ইউক্রেনীয় পতাকা উঁচিয়ে ধরা কিছু সৈন্যের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ইউক্রেনের একজন উর্ধ্বতন প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা বলছেন, প্রতিটি অগ্রাভিযানই একেকটি ‘মাইলস্টোন’।
ইউক্রেন তার পাল্টা অভিযান তীব্রতর করার খবর নিশ্চিত না করলেও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনের আক্রমণের তীব্রতা বেড়ে গেছে।
রুশ সামরিক ব্লগার ওয়ারগোনজো বলছে, স্টারোমাইওরস্ক পুনর্দখলের খবর উদ্বেগজনক, কারণ এটি জাপোরিশা অঞ্চলের যুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ রুশ আউটপোস্ট।
গত মাসে একাধিক ফ্রন্টলাইনে পাল্টা অভিযান শুরু করে ইউক্রেনীয় বাহিনী – তবে এ পর্যন্ত স্পষ্ট অগ্রগতির সংখ্যা খুবই কম।
কিয়েভের জেনারেলরা হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন যে রাশিয়ার প্রতিরক্ষাব্যূহ এবং কয়েক কাতারে পেতে রাখা মাইনের কারণে দ্রুত কোন ফলাফল পাওয়া প্রায় অসম্ভব।