যদি মেনে নিতে পারো
যদি মেনে নিতে পারো
তবে এসো, এসো এই সুগভীর খাদের কিনারে,
যেখানে ঝরনার সাথে মিশে থাকে হুইস্কি-বিয়ার
কিছুটা আঁচলা করে নিতে পারো যখন তখন।
আর যদি, ঝরনা-নদীর সঙ্গমে উছলিত ফ্যানার
প্রলেপ লেগে যায় মুখে ও গলায়
আমার রুমাল দিয়ে মুছে নিও পিচ্ছিল শরীর গরল।
যদি মেনে নিতে পারো
তবে বলো, কোন সুদূরের সীমানায় দাঁড়াতে হবে,
যেখানে দিগন্তে লাল সূর্যের আলো
গোধূলির ধুলো ঢাকা ছড়ানো আকাশ ছুঁতে হবে?
আর, যদি দেখ সেথা আকাশ-জমিন
শঙ্খ লাগার মত রয়েছে জড়িয়ে
তোমার ওড়না খুলে ঢাকা দিয়ে দিও।
বলো, মেনে নিতে পারবে কি?
তারা
একটুও মনে হয়নি মিথ্যেকথা
একটুও মনে হয়নি বাড়াবাড়ি,
শুধু,
গলার কাছে আটকে গেলো শব্দগুলো
রাতের আকাশ, দিনের আলো
আলোর নিচে হারিয়ে যাওয়া
তারার ছড়াছড়ি….
ইচ্ছেগুলো
নীল খামে জমা থাক আমাদের অনুভূতিগুলো
যেখানে অবুঝ প্রেম
ফেলে আসা দীর্ঘ সময়ে
কৈশোরে উথাল-পাতাল ঢেউ
জমা থাক গুমোট হাওয়ায়।
যেখানে সূর্য ওঠা মানা
যেখানে আলোর নাম বহ্নিশিখা
যেখানে সকাল হবে বলে
আগে থেকে প্রদীপ নেভানো।
সেখানে পাথর চাপা থাক
পুরন না হওয়া স্বপ্নেরা
অনন্ত না পাওয়ার সাথে
সেখানে গুমরে থাক অন্ধ গুহায়
সাবধানে জমা থাক আমাদের ইচ্ছেগুলো।
তোর জন্য
তোর জন্য সকালটা থাকে
আলোয় ভরা
তোর জন্য জীবন চলুক
ছন্দ মেনে,
তোর জন্য চাঁদ উঠুক
ফুল ফুটুক
বসন্ত আসুক
যখনই তোর ইচ্ছে হবে
মনে।
পবিত্রতা
জয়িতা একটু দাঁড়াও আমার সামনে
তোমার বুকে রাখি মুখ
গলায় দেব চুম্বন
ঘামের গন্ধে খুঁজবো
পবিত্রতা।
জয়িতা একটু দাঁড়াও আমার সামনে
দুহাত দিয়ে আঁকড়ে ধরি তোমায়
লজ্জা পেও না
আজ লজ্জা নিয়ে দেবো পবিত্রতা।
জয়িতা একটু দাঁড়াও আমার সামনে
তাকিয়ে দেখো অন্ধকারের দিকে
দুজন প্রেমিক বিভোর হয়ে প্রেমে
ওরাও আজ খুঁজছে পবিত্রতা।
জয়িতা একটু দাঁড়াও আমার সামনে
আমার মুখে মুখ লাগিয়ে বল
আমরা ভালোবাসি-
সত্যিকারের আসুক পবিত্রতা।
ভাগ্য
মৃত্যু আর জীবনের মাঝে কোনো ফারাক ছিল না
যতটুকু ফারাক তা ছিল মুমূর্ষ বেঁচে থাকা-
ফরিঙের কিছুই ছিল না।
বোতল আর গেলাসের মাঝে কোনো ফারাক ছিল না
যতটুকু ফারাক তা ছিল চুমুক দেওয়ার-
ফরিঙের কিছুই ছিল না।
ওড়া ও পোড়ার মাঝে কোন সময় ছিল না
যতটুকু ছিল তা শুধু আগুন মাখার-
ফরিঙের ভাগ্যে ছিল।