আমার বাড়ি
ওড়ে সব সন্ধ্যাবেলার পাখি
দূর হতে দেখি তাদের ডানার রঙ্
কেউকে ডাকি না কোনওদিন
একা একা থাকি
আমার গোধূলিরাঙা বাড়ি
বাড়িতে নীরব অভিমান।
একটি বিপন্ন ঘোড়া
ক্ষত সামলে ছুটে যাচ্ছি
যুদ্ধের মাঠে
একটি বিপন্ন ঘোড়া—
পিঠে সংসার চেপে আছে
দীর্ঘশ্বাস ফেলছে সদস্যরা!
অবিনশ্বর
আমি রোজ মৃত মানুষের কাছে যাই
মৃত মানুষেরা বেঁচে আছে
এই জ্যোৎস্না বায়ুপ্রবাহ জলের কল্লোলে
বেজে ওঠে আর্তস্বর, অবিনশ্বর ভাষাগুলি
ডালে ও পাতায় তারই মর্মর ধ্বনি তোলে।
আকাঙ্ক্ষিত
শূন্যতার সংকেতে বিমর্ষ স্বপ্নগুলি
অন্ধকারে চলাফেরা করে—
আমরা বিস্ময়ের আলোয় তাদের কাছে যাই
সব দরোজাকেই মনে হয় স্বপ্নদের ঘর
যদি দ্বার খুলে ডেকে নেয়!
দৃশ্য
বরষার জলে ভরসারা স্নান করে
আমি শুধু দৃশ্য মুদ্রিত করি
নিস্তব্ধতার জানালায়
চেয়ে থাকে আমার দুঃখের উট
পিঠে তার আদিম অন্ধকার…
জীবনমঙ্গল কাব্য
তবু ভালো, আজ ভোরবেলা উঠে মনে হল
আমার কোনও দারিদ্র নেই
ঝিকিমিকি রোদ কুড়িয়ে নিয়ে
মেয়ের ঝরনার পাশে বসে থাকব।
যুদ্ধ জাহাজগুলি চলে যাক যতদূর যাবে
অথবা চিৎকার এসে মাথায় করুক পাড়া
আজ কোনও অভিযোগ নেই আর।
মৃত্যুও সুন্দর আর বিচ্ছেদ বৈরাগ্য
সব শিল্প হয়ে উঠছে একে একে
কালের পাতায়।
দুঃখমোচন শব্দে সরবত বানাও মেয়ে,
রঙিন কাচের গ্লাসে জীবনকাব্যের ছন্দ
উপচে পড়ুক…