রাশিয়ার ভূখন্ডে হামলাকে সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র
রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ চলছে ৫০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে। যুদ্ধের এই পর্যায়ে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়ার ভূখন্ডে হামলার ঘটনা বেড়েছে। এমনকি ড্রোন হামলা হচ্ছে রাশিয়া রাজধানী মস্কোতেও।
ড্রোন ব্যবহার করে সীমান্ত থেকে শত শত মাইল দূরে রুশ ভূখণ্ডের ভেতরে ইউক্রেন হামলা করছে বলে অভিযোগ মস্কোর। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তারা রাশিয়ার অভ্যন্তরে ইউক্রেনের হামলা চালানোকে সমর্থন করে না।
যদিও রুশ ভূখণ্ডে হামলা বা বিস্ফোরণের দায় কখনোই স্বীকার করে না ইউক্রেন। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
সোমবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। ভোরের সময় চালানো ওই হামলায় ‘আবাসিক নয়’ এমন ভবনগুলোতে ড্রোন আঘাত হানে এবং অন্তত দু’টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই হামলার পেছনে ইউক্রেনকে দায়ী করেছে রাশিয়া।
অবশ্য হামলায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানায় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। আর এরপরই এই বিষয়ে নিজেদের মতামত জানাল যুক্তরাষ্ট্র।
রয়টার্স বলছে, রাশিয়ার অভ্যন্তরে ইউক্রেনের হামলা চালানোকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না বলে জানিয়ে দিয়েছে হোয়াইট হাউস। সোমবার ইউক্রেনের দু’টি ড্রোন মস্কোতে বেশ কয়েকটি ভবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করার ওয়াশিংটন এই বিষয়ে তার অবস্থান স্পষ্ট করল।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ-পিয়েরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাধারণ বিষয় হিসেবে আমরা রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানোকে সমর্থন করি না।’
রাশিয়া অবশ্য এই হামলার পর ইউক্রেনের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এছাড়া ড্রোন হামলার ঘটনাকে নির্লজ্জ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলেও অভিহিত করেছে দেশটি। মূলত হামলা চালাতে আসা একটি ড্রোন রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরের কাছাকাছি এলাকায় পড়েছিল।
কারিন জ্যঁ-পিয়েরে বলেন, ‘এই যুদ্ধটি রাশিয়া শুরু করেছিল। এটি তাদের যুদ্ধ। এবং বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নৃশংস হামলা চালানোর পরিবর্তে ইউক্রেন থেকে রুশ বাহিনী প্রত্যাহার করে যেকোনো সময় এই যুদ্ধ শেষ করতে পারে রাশিয়া।’
রয়টার্স বলছে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা সদর দপ্তরের কাছে একটি ড্রোন পৌঁছে যাওয়ায় সেটি ইউক্রেনের শক্তিকেই তুলে ধরছে এবং ইউক্রেনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, এই ধরনের আরও হামলা হবে।
এদিকে কিয়েভ সোমবার বলেছে, রাশিয়ান ড্রোন হামলায় দানিউব নদীর তীরে ইউক্রেনের শস্য গুদাম ধ্বংস হয়েছে এবং এতে সাতজন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে ক্রেমলিন বলেছে, ইউক্রেনে তারা তাদের ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালিয়ে যাবে।