কৃষ্ণ সাগর বন্দরে রুশ হামলায় ৬০ হাজার টন শস্য ধ্বংস

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন

কৃষ্ণ সাগর বন্দরে রুশ হামলায় ৬০ হাজার টন শস্য ধ্বংস

ইউক্রেইনের কৃষ্ণসাগর উপকূলের বন্দরগুলোতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৬০ হাজার টন শস্য ধ্বংস হয়েছে এবং গুদাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

ইউক্রেইনের কৃষিমন্ত্রী মাইকোলা সোল্সকি বলেছেন, রপ্তানি পরিকাঠামোর অনেকাংশই অচল হয়ে পড়েছে।

কৃষ্ণ সাগর বন্দরে রুশ হামলায় ৬০ হাজার টন শস্য ধ্বংস
শস্যচুক্তি থেকে রাশিয়ার বেরিয়ে যাওয়ায় বিশ্ববাজারে বেড়েছে গমের দাম। প্রতীকি ছবি

জাতিসংঘ এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেইনের বন্দরগুলো দিয়ে দেশটির শস্য রপ্তানির ঐতিহাসিক চুক্তি থেকে গত সোমবার রাশিয়া সরে আসে।

এরপর কয়েকঘণ্টার মধ্যেই মঙ্গলবার সকালে ইউক্রেইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী ওদেসা এবং মাইকোলাইভে হামলা চালায় রাশিয়া।

- বিজ্ঞাপন -

এরপরও বুধবার পর্যন্ত রাতভর ওদেসা এবং করনোমোর্স্কে কৃষ্ণসাগর উপকূলের বন্দর ও শস্য টারমিনালগুলোকে নিশানা করে রাশিয়ার হামলা চলেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ওদেসার সামরিক মুখপাত্র শেরহি ব্রাতচুক বলেছেন, “সত্যিই প্রকাণ্ড হামলা হয়েছে।” কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ৬০,০০০ টন শস্য ধবংস হয়েছে, যেগুলো একটি বড় জাহাজে তুলে নিরাপদ করিডোর দিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।

কৃষ্ণ সাগর বন্দরে রুশ হামলায় ৬০ হাজার টন শস্য ধ্বংস
জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় নিরাপদ করিডোর দিয়ে ইউক্রেনীয় খাদ্যশস্য বিভিন্ন দেশে রফতানি করা হয়েছিল। ছবি রয়টার্স

ফ্রান্স এবং জার্মানি রাশিয়ার এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ওদেসায় বোমা ফেলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিশ্বের ইউক্রেইনের শস্য পাওয়ার আশা ছিনিয়ে নিচ্ছেন এবং গরিবদের পেটে লাথি মারছেন।

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর দেশটি থেকে শস্য রপ্তানি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কারণ, রাশিয়া প্রথমেই কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেইনের বন্দরগুলোর দখল নিয়ে নেয়।

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ শস্য রপ্তানিকারক দেশ ইউক্রেইন থেকে পণ্যের যোগান বন্ধ হয়ে গেলে তার সরাসরি প্রভাব পড়ে বিশ্ববাজারে।

- বিজ্ঞাপন -
কৃষ্ণ সাগর বন্দরে রুশ হামলায় ৬০ হাজার টন শস্য ধ্বংস
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ শস্য রপ্তানিকারক দেশ ইউক্রেইন। ছবি সংগৃহীত

লাফিয়ে লাফিয়ে শস্যের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যায়। সারা বিশ্বে দেখা দেয় খাদ্য সংকট। অন্যদিকে, ইউক্রেইনের গুদামগুলোতে টন টন শস্য পড়ে নষ্ট হতে থাকে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইউক্রেইন থেকে শস্য রপ্তানির বিষয়ে তিন পক্ষের মধ্যে গত বছর একটি চুক্তি হয়।

গত সোমবার ওই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। এরপর নতুন করে আর মেয়াদ বাড়ানো হবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে রাশিয়া।

- বিজ্ঞাপন -

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!