বেলারুশে পৌঁছেছেন ওয়াগনার যোদ্ধারা, বলছে ইউক্রেন ও পোল্যান্ড
রাশিয়া থেকে ভাড়াটে সামরিক বাহিনী ওয়াগনারের যোদ্ধারা বেলারুশে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেন ও পোল্যান্ডের সরকারি কর্মকর্তারা।
ভাড়াটে যোদ্ধারা রাজধানী মিনস্কের দক্ষিণ-পূর্বে বেলারুশের সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলে দেশটি জানানোর পর তারা এই তথ্য জানিয়েছেন।
রোববার ইউক্রেনের সীমান্ত সংস্থার মুখপাত্র আন্দ্রি ডেমচেঙ্কো বার্তা আদানপ্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ওয়াগনার বাহিনী বেলারুশে পৌঁছেছে। তিনি বলেছেন, বেলারুশে রাশিয়ার ‘বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠীর’ চলাফেরা লক্ষ্য করা গেছে।
কমপক্ষে গত মঙ্গলবার থেকে কিছু ওয়াগনার যোদ্ধা বেলারুশে রয়েছেন বলে এই গোষ্ঠীটির ঘনিষ্ঠ দুটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে। গত শুক্রবার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে দেখা যায়, দেশটির ওসিপোভিচি শহরের কাছের একটি সামরিক স্থাপনায় বেলারুশিয়ার সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন ওয়াগনার যোদ্ধারা।
গত মাসে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করেছিল ওয়াগনার গোষ্ঠী। ওই সময় তারা রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর আঞ্চলিক এক সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণও নেয় এবং মস্কোর দিকে অগ্রসর হয়। পরে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় ওয়াগনার বাহিনীর সাথে চুক্তি পৌঁছায় মস্কো।
চুক্তিতে ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন ও গোষ্ঠীটির কিছু সৈন্যের বেলারুশে চলে যাওয়ার শর্ত দেওয়া হয়। ওয়াগনারের এই বিদ্রোহ রাশিয়াকে গৃহযুদ্ধের দিকে নিয়ে যাওয়ার হুমকি তৈরি করেছিল বলে মন্তব্য করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
গত ২৪ জুন রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রোস্তন-অন-দন ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত জনসমক্ষে দেখা যায়নি ওয়াগনার প্রধানকে।
পোল্যান্ডের স্পেশাল সার্ভিসের সমন্বয়কারী ও উপমন্ত্রী স্ট্যানিস্লো জারিন বলেছেন, বেলারুশে ওয়াগনার যোদ্ধাদের উপস্থিতির ব্যাপারে ওয়ারশও নিশ্চিত হয়েছে। টুইটারে তিনি বলেছেন, এই মুহূর্তে বেলারুশে ওয়াগনারের কয়েকশ সৈন্য আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চলতি মাসে পোল্যান্ডের সরকার বলেছে, বেলারুশ সীমান্তে যেকোনও ধরনের সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে পোল্যান্ড।
সূত্র: রয়টার্স।