ডুবোযান টাইটান : মৃত্যুর ৪৮ সেকেন্ড আগে যাত্রীরা বুঝে যান কি হতে যাচ্ছে

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

ডুবোযান টাইটান : মৃত্যুর ৪৮ সেকেন্ড আগে যাত্রীরা বুঝে যান কি হতে যাচ্ছে

আটলান্টিক মহাসাগরের নিচে পাঁচ আরোহী নিয়ে গত মাসে বিস্ফোরিত হয় ডুবোযান টাইটান। তারা সবাই সাগরের তলদেশে পড়ে থাকা টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবেশ দেখতে ওই ডুবোযানটিতে চড়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সমুদ্রের পানিতেই সলিল সমাধি হয় তাদের।

ডুবোযান টাইটান : মৃত্যুর ৪৮ সেকেন্ড আগে যাত্রীরা বুঝে যান কি হতে যাচ্ছে
সাগরের তলদেশে বিধ্বস্ত টাইটানিক। ছবি বিবিসি

ভয়াবহ বিস্ফোরণের শিকার ডুবোযান টাইটানের যাত্রীরা মৃত্যুর অন্তত ৪৮ সেকেন্ড আগে তাদের পরিণতি সম্পর্কে বুঝে যান বলে জানিয়েছেন স্প্যানিশ প্রকৌশলী ও সমুদ্র বিশেষজ্ঞ হোসে লুইস মার্টিন। তিনি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এনআইইউসের সঙ্গে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন দাবি করেছেন।

ওই বিশেষজ্ঞ তার বিশ্লেষণে বলেছেন, যখন পানির নিচে ডুবোযানটি নিমজ্জিত হয় তখন একটি বৈদ্যুতিক গোলযোগ দেখা দেয়। এতে যানটি স্থিতিশীলতা হারিয়ে ফেলে। এরফলে এটি অনিয়ন্ত্রিতভাবে পানির নিচের দিকে তলিয়ে যেতে থাকে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, পাঁচ আরোহী বিস্ফোরণ সম্পর্কে ৪৮ থেকে ৭১ সেকেন্ড আগে বুঝতে পারেন। বিষয়টিকে একটি ভয়ংকর ছবির সঙ্গে তুলনা করে তিনি আরও জানিয়েছেন, টাইটানের পাইলট যানটিকে পানিয়ে ভাসিয়ে তুলতে যে ‘ভার অপসারণ’ ব্যবস্থা আছে; সেটি সক্রিয় করতে পারেননি। কারণ ওই ধরনের জরুরি পরিস্থিতিতে এটি কাজ করার মতো শক্তিশালী ছিল না।

- বিজ্ঞাপন -

এই বিশেষজ্ঞ আরও জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার আগে টাইটানের অবস্থান পরিবর্তন হয়ে যায় এবং তীরের মতো খাড়াভাবে পানিতে নিচে যেতে থাকে এটি। তিনি বলেছেন, ‘সবাই হুড়োহুড়ি শুরু করেন এবং একে-অপরের ওপর পড়ে যান। কি ভয়ানক ভাবুন, ভয়, কষ্ট। এটি একটি ভয়ানক ছবির মতো ছিল। সবকিছু ৪৮ থেকে ৭১ সেকেন্ডের মধ্যে হয়েছে।’

ডুবোযান টাইটান : মৃত্যুর ৪৮ সেকেন্ড আগে যাত্রীরা বুঝে যান কি হতে যাচ্ছে
টাইটানের পরীক্ষা নিরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন আছে অনেকের। ছবি সংগৃহীত

তিনি আরও বলেছেন, ‘ওই সময় তারা সব বুঝতে পারছিলেন। আর এমন সময় তারা কেমন অনুভব করছিলেন সেটি সম্পর্কে জানা কঠিন।’

তিনি আরও বলেছেন, সাগরের এমন গভীরে যে চাপ থাকে; এতে করে টাইটানে যদি একটি সামান্য ছিদ্রও হয়ে থাকে, তাতে ৬৩০ মাইল গতিতে ওই সময় এটির ভেতর পানি ঢুকেছিল। আর পানির এমন চাপের কারণে যানটির ভেতরে থাকা সবার তাৎক্ষণিক মৃত্যু হয়।

ডুবোযান টাইটান : মৃত্যুর ৪৮ সেকেন্ড আগে যাত্রীরা বুঝে যান কি হতে যাচ্ছে
উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে পর্যটকদের পানির সাড়ে ১২ হাজার ফুট নিচে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে ডুব দেওয়া ডুবোযান টাইটান। ছবি সংগৃহীত

এদিকে বিস্ফোরিত হওয়া ডুবোযানটিতে করে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়েছিলেন এটির পরিচালনকারী সংস্থা ওশেনগেটের সিইও স্টকটন রাসম, ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ধনকুবের শাহজাদা দাউদ ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ, আরেক ব্রিটিশ ধনকুবের হামিস হার্ডিং এবং ডাইভিং বিশেষজ্ঞ পল-হেনরি নারগোলেট।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!