ইরানে থানায় হামলা, ৪ বন্দুকধারীসহ নিহত ৬
ইরানের অশান্ত দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে একটি থানায় বন্দুকধারী ও আত্মঘাতী বোমাবাজদের অতর্কিত আক্রমণের ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য ও ৪ হামলাকারী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
শনিবার সিস্তান-বেলুচিস্তানের রাজধানী জাহেদানে এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গত বছর নীতি পুলিশের হেফাজতে তরুণ এক কুর্দি নারীর মৃত্যুর ঘটনায় ইরানজুড়ে অস্থিরতার মধ্যে যেসব শহর রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ দেখেছিল, জাহেদান তার একটি।
থানায় হামলার ঘটনায় ‘৪ সন্ত্রাসীর সবাই’ এবং ২ পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে, বলেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। বেশকিছু গণমাধ্যম পুলিশের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে তিন হামলাকারী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে।
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তে অবস্থিত সিস্তান-বেলুচিস্তান ইরানের অন্যতম দরিদ্র প্রদেশ; এটি ওই অঞ্চলে মাদক চোরাচালানের অন্যতম বড় রুটও।
ইরানে থাকা বালুচ জনগোষ্ঠীর প্রায় ২০ লাখ সদস্য দশকের পর দশক ধরেই শোষণ-বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছে বলে ভাষ্য মানবাধিকার সংগঠনগুলোর।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরে একদিনে অন্তত ৬৬ বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার পর থেকে নিয়মিত সাপ্তাহিক প্রতিবাদ কর্মসূচি দেখে আসছে জাহেদান, দেশটির বেশিরভাগ অংশে বিক্ষেভ স্তিমিত হয়ে এলেও সিস্তান-বেলুচিস্তানের এ রাজধানী এখনও সক্রিয়।
কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার ওই ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ জাহেদানের পুলিশ কমান্ডার ও একটি থানার প্রধানকে বরখাস্ত করেছিল।
ইরানি কর্তৃপক্ষ সেদিনের গুলিবর্ষণ শুরুর দায় বালুচ সশস্ত্র গোষ্ঠী জইশ আল-আদলের ওপর চাপিয়েছে। এই গোষ্ঠীটি পাকিস্তানে নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বলেও দাবি তেহরানের।
তবে জইশ আল-আদল বা অন্য কোনো গোষ্ঠীই ওইদিনের ঘটনার তাদের কোনো ধরনের ভূমিকা থাকার দায় স্বীকার করেনি।