ইউক্রেনে ওয়াগনারের ২১ হাজার যোদ্ধা নিহত হয়েছে: জেলেনস্কি
ইউক্রেন যুদ্ধে সবচেয়ে কঠিন সংঘর্ষ চলছে দেশটির পূর্বাঞ্চলে। এই অঞ্চলটিতে দুনিয়ার সবেচেয়ে বড় সশস্ত্র ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লিপ্ত। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, ‘পূর্বে বেসরকারি বাহিনী ওয়াগনার অভাবনীয় ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে। তাদের ২১ হাজার সশস্ত্র যোদ্ধাকে হত্যা করেছে আমাদের সেনারা।’
ইউক্রেন যুদ্ধের সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার (১ জুন) রাতে রাজধানী কিয়েভ থেকে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে ঢুকে রুশ বাহিনী নজিরবিহীন হামলার শুরু থেকে কিয়েভে বসে যুদ্ধের গতিবিধি নিয়ে নিয়মিত আপডেট জানাচ্ছেন তিনি।
কিয়েভ সফরে আসা স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের সঙ্গে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, ‘শুধু পূর্ব ইউক্রেনেই আমাদের সেনারা ওয়াগনারের ২১ হাজার যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। প্রচণ্ড লড়াইয়ে আরও ৮০ হাজার ভাড়াটে গুরুতর আহত।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওয়াগনারের (পিএমসি) প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যারা বেশিরভাগই রুশ সেনাবাহিনীর সদস্য ছিল। যারা বিভিন্ন কারণে দোষী সাব্যস্ত ছিল। তাদের আর হারানোর কিছু ছিল না।’
ভাড়াটে ওয়াগনার যোদ্ধাদের প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে জেলেনস্কির দাবির বিষয়ে তাৎক্ষণিক স্বাধীনভাবে সত্যতা যাচাই করতে পারেনি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এ নিয়ে তৃতীয়বার কিয়েভ সফরে গেলেন স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী। তার আগে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) প্রধান উইলিয়াম বার্নস ইউক্রেন সফরে যান। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, নানা অভিযোগ তুলে মস্কোর শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের উৎখাতে সম্প্রতি ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিনের নেতৃত্বে দেশটিতে ঢুকে অভিযান চালায় তার কয়েক হাজার যোদ্ধা। এ নিয়ে ক্রেমলিনের সঙ্গে ওয়াগনারের সম্পর্ক চরম অবনতি হয়েছে। প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে বিচার হবে বলেও জানান প্রেসিডেন্ট পুতিন।
সূত্র: সিএনএন