মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের সমাপ্তি
আফ্রিকার দেশ মালিতে দশককাল ধরে চালানো শান্তিরক্ষা মিশন শেষ করতে সর্বসম্মতিক্রমে ভোট দিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।
মালির সামরিক জান্তা দুই সপ্তাহ আগে হঠাৎ করেই দেশটি থেকে ১৩ হাজার শান্তিরক্ষীর শক্তিশালী বাহিনীকে অবিলম্বে চলে যেতে বলার পর জাতিসংঘ এমন পদক্ষেপ নিল।
শান্তিরক্ষা মিশন নিয়ে জাতিসংঘ এবং মালির সামরিক জান্তার মধ্যে কয়েক বছর ধরেই প্রবল উত্তেজনা চলছিল। এ মাসে মালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুলায়ে দিয়োপ শান্তিরক্ষীদের ‘যত দ্রুত সম্ভব’ সরিয়ে নিতে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানান।
২০২১ সালে মালি রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনারের সঙ্গে মিত্রতা করার পর থেকেই সেখানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনকে একের পর এক বিধিনিষেধের খাড়ায় পড়তে হচ্ছিল। এ পরিস্থিতির মধ্যে এখন মিশনটি বন্ধ হচ্ছে।
শুক্রবার মালিতে শান্তিরক্ষা মিশন শেষ করতে ভোট চলার সময়ই হোয়াইট হাউজ মালি থেকে শান্তিরক্ষীদের তাড়াতে ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের কলকাঠি নাড়ার অভিযোগ করেছে। বলেছে, মালি কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালের শেষের দিক থেকে এ পর্যন্ত ওয়াগনারকে ২০ কোটি ডলার দিয়েছে এমন তথ্য আছে।
“যে জিনিসটি বেরিয়ে আসেনি তা হচ্ছে, ওয়াগনারের স্বার্থ রক্ষা করতেই সেনাদলটির প্রধান প্রিগোজিন শান্তিরক্ষা মিশনকে মালি থেকে সরিয়ে দিতে ভূমিকা রেখেছেন,” সাংবাদিকদেরকে বলেন হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি।
তবে এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে মালির সরকারি মুখপাত্র তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলেননি। জাতিসংঘে রাশিয়া উপ রাষ্ট্রদূত আন্না এভস্টিগনিভা নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, মালি ‘সার্বভৌম সিদ্ধান্ত’ নিয়েছে।
জঙ্গিদের হাত থেকে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় মালিতে মিনুসমা নামের এই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছিল। ফ্রান্সের খসড়া প্রস্তাব মেনে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এখন শনিবার থেকেই মিশনের কাজ গুটিয়ে নেওয়া এবং দায়িত্ব হস্তান্তর শুরু করতে বলেছে।
সেইসঙ্গে নিরাপদে শান্তিরক্ষা বাহিনীর সব সদস্যদের প্রস্থানের মধ্য দিয়ে প্রত্যাহার প্রক্রিয়া এবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।