খেরসন-ক্রিমিয়া সংযোগ সেতুতে ইউক্রেনের হামলার অভিযোগ রাশিয়ার
ইউক্রেনের রুশ দখলকৃত খেরসন অঞ্চলের সঙ্গে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সংযোগকারী প্রধান সেতুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। এমন হামলার জন্য কিয়েভকে দায়ী করছে মস্কো। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সেতুর উভয়দিকের রুশ নিযুক্ত কর্মকর্তারা বিষয়টি জানিয়েছেন। এ
মন ঘটনা ঘটলো যখন ঘোষণা দিয়ে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে কিয়েভ। খবর রয়টার্সের।
‘চোঙ্গার’ সেতুতে এমন হামলার ফলে যানবাহন চলাচলের পথ ভিন্ন দিকে সরিয়ে নিতে হয়েছে বলে জানায় রাশিয়া। খেরসনের রুশ নিযুক্ত গভর্নর ভ্লাদিমির সাল্ডো জানিয়েছেন, হামলার ফলে সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হলেও হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
হামলায় স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি। ক্রিমিয়া অঞ্চলের গভর্নর সের্গেই আক্সিনোভ বলছেন, সেতুটি স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে কত সময় লাগবে তা নিয়ে গবেষণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
যুদ্ধে মস্কোর অন্যতম প্রধান সাফল্য আজভ সাগরের পশ্চিম উপকূল থেকে ডিনিপ্রো নদীর পূর্ব তীর পর্যন্ত অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ অর্জন। এর মাধ্যমে রুশ দখলে থাকা অন্যান্য অঞ্চল থেকে আর বিচ্ছিন্ন থাকেনি ক্রিমিয়া। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল করে নেয় মস্কো।
একই রাতে ইউক্রেনের বন্দরনগরী ওডেসায় ড্রোন হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কিয়েভের কর্মকর্তারা। আবাসিক এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলাসহ রাশিয়া যুদ্ধক্ষেত্রে বোমা ও গোলাবারুদ ব্যবহার করছে বলে জানান তারা।
তবে পাল্টা আক্রমণে থেমে নেই কিয়েভ। রাশিয়ার দখল থেকে নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষার্থে প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে রুশবিরোধী পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনারা।
লড়াইয়ে কিয়েভের সেনারা জাপোরিজ্জিয়া ও ডনেস্কের ৮ টি গ্রাম পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনের। সূত্র: রয়টার্স