অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের গুলিতে ৪ ইসরায়েলি নিহত
অধিকৃত পশ্চিম তীরের এক অবৈধ বসতির কাছে দুই ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত চার ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সৈন্যদের প্রাণঘাতী অভিযানের একদিন পর মঙ্গলবার পশ্চিম তীরের এলি এলাকার কাছের এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে চারজন।
পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলের এলির কাছে হামলায় চারজন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছেন বলে এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, একজন বন্দুকধারীকে ঘটনাস্থলেই গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সৈন্যরা। পরে ট্যাক্সিতে করে পালিয়ে যাওয়ার সময় নাবলুসের কাছে দ্বিতীয় সন্দেহভাজনকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এই হামলার বিষয়ে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেননি।
অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম থেকে আল জাজিরার প্রতিনিধি ইমরান খান প্রাণঘাতী ওই হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, রামাল্লা এবং নাবলুসের মাঝের এলি বসতির প্রবেশপথের কাছের একটি গ্যাস স্টেশনে গুলি চালিয়েছে সন্দেহভাজনরা।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, বন্দুকধারীরা গাড়িতে করে এসে প্রথমে একটি রেস্তোরাঁয় গুলি চালায়। পরে পাশের একটি পেট্রোল স্টেশন লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে তারা। একজন হামলাকারী একটি চলন্ত গাড়ি ছিনিয়ে ওই এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।
সৈন্যদের গুলিতে নিহত ওই দুই ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীর পরিচয় নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল। তারা হলেন মোহাম্মদ ফালেহ শাহদেহ এবং খালেদ মোস্তফা সাবাহ। দুজনই নাবলুসের কাছের উরিফ গ্রামের বাসিন্দা।
এই ঘটনার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ‘জরুরি নিরাপত্তা বৈঠক’ ডেকেছেন । ইসরায়েলি এই প্রধানমন্ত্রীর উগ্র ডানপন্থী মিত্ররা গত কয়েক মাস ধরে অধিকৃত পশ্চিম তীরে বড় ধরনের সামরিক অভিযান পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে আসছে।
মঙ্গলবারের হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সহিংস বিবৃতি দিয়েছেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, ‘আমরা গত কয়েক মাসে প্রমাণ করেছি যে, আমরা ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় সব হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছি। যারা আমাদের ক্ষতি করেছে, তারা হয় কবরে অথবা কারাগারে নিক্ষিপ্ত হবে। এক্ষেত্রেও তাই হবে।’